বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
একেবারে অন্তিম কালে জমে উঠেছে খুলনা নগরীর জোড়া গেটের কোরবানি পশুর হাট ক্রেতাদের আগমনী আর গবাদি পশুর হাম্বা ডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে কোরবানির হাটের পরিবেশ।
উল্লেখ্য খুলনা নগরীর উল্লেখযোগ্য অন্যতম জোড়াগেট কোরবানি পশুর হাট সপ্তাহব্যাপী ১০ জুন থেকে সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়নের শুরু হলেও ক্রেতা অভাবে ভাটির টানে ছিলো গবাদি পশু বিক্রির চাহিদা। হাট সরব ছিল, ছিল জনগণের আনাগোনা তবুও বেচা বিক্রি ছিল তুলনামূলক শূন্যের কোঠায়।
ফলে অতি দুশ্চিন্তার গ্রাসে পড়েছিল খামার মালিকসহ গৃহস্থালী পশু বিক্রেতারা।
তবে একেবারে অন্তিম সময় গতকাল সন্ধ্যা থেকে জমে উঠেছে নগরীর কোরবানি পশুর হাট। লক্ষণীয় ভাবে বেচা বিক্রি হচ্ছে গবাদি পশু তবে লাভ লস এর কিছুটা সংকোচিত গ্রস্ততার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু ভারতীয় গরু হঠাৎ করে হাটে আমদানি হওয়ার কারণে। তা সত্ত্বেও বেপারীদের দুশ্চিন্তার কালো মেঘ সরতে শুরু করেছে ক্রেতাদের আগমনীতে ক্রমাগত বেচা বিক্রির লক্ষণ উপলব্ধি করতে পেরে মনে জোর বেড়েছে খামারিদের। বিক্রি হচ্ছে দেশি মাঝারী ধরনের গরু যার মূল্য এক থেকে দেড় লক্ষের মধ্যে পাশাপাশি উচ্চবিত্ত ক্রেতাদের আনাগোনাও কোনো অংশে কম নাই সাধারণত বড় বাজেটের ক্রেতারা একটু হাট ঘুরে দেখাশোনা করার পর সিদ্ধান্ত নিয়ে দরদামে বনি বনা হলে রুচিসম্মত পশুটি কেনার চেষ্টা করে।
তবে হাট পরিচালনা কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে হাট শুরুর দিন থেকে আজকের দিন পর্যন্ত বেশ কিছু দামি গরু এখান থেকে বিক্রি হয়েছে যার মূল্য তিন থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত। পাশাপাশি আমাদের হাটে বেশ কিছু গরু রয়েছে যা দর্শনীয় ক্রেতাদের মন আকৃষ্ট করার মতন মুল্য নির্ধারণ করেছে বিক্রেতারা ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত সাথে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার গরুও রয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবে সবথেকে বেশি রয়েছে তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার বাজেটের গরু। সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর গবাদি পশুর আমদানি অনেক বেশি।
আর এ সকল গবাদি পশুর খামারি মালিকেরা এসেছে জেলার আশপাশের জেলা বাগেরহাট, নড়াইল, যশোর, সাতক্ষীরা, কালিগঞ্জ সহ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া, দিঘলিয়া, রূপসা, তেরখাদা, চুকনগর, আঠারো মাইল, চালনা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা থেকে। আর এসকল এলাকার খামারি ব্যবসায়ীরা আশা করছে এ বছর আশা অনুরূপ লাভজনক কিছু সুফল পাবে নগরীর জোড়া গেটের গবাদি পশুর হাট এসে।
জোড়া গেট হাটে রয়েছে সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সিসি ক্যামেরা আওতাভুক্ত জাল নোট সনাক্তকারী মেশিন ব্যাপারীদের থাকা খাওয়ার সুবন্দোবস্ত সহ বেপারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল ধরনের সুব্যবস্থা।
আজ সূর্য ওঠার আগের থেকেই শুরু হয়েছে হাটে ক্রেতাদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড় গায়ে গা লাগিয়ে ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি করে গরু দেখছে ক্রেতারা তুলনামূলকভাবে বিক্রিও হচ্ছে লক্ষণীয়ভাবে কোরবানির পশু।
তবে বেলা বারার সাথে সাথে ক্রেতাদের অনেক বেশি ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। জোড়া গেটের কোরবানি পশুর হাট নদী সংলগ্ন হওয়ার কারণে ক্রেতা বিক্রেতাদের উভয়েরই সুবিধা হয়েছে সমানভাবে পাশাপাশি সড়ক ব্যবস্থার সুবিধাতো রয়েছেই সব মিলে এখান থেকে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করে নির্দ্বিধায় তাদের গন্তব্যয় নিয়ে পৌঁছাতে পারছে কোরবানির পশুটি।
এদিকে হাট কর্তৃপক্ষের কর্তারা বলছে আজকের দিন যেমন তেমন সন্ধ্যা রাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত বেচা বিক্রি ৩ থেকে চারগুণ বৃদ্ধি পাবে। আর আমাদের এখানকার কোরবানি পশুর হাট চলবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত। তবে আমরা আশা করছি এবার যে পরিমাণে কোরবানির জন্য গবাদি পশু বেচা বিক্রির লক্ষণ দেখছি সে তুলনায় অন্যান্য বছরের থেকেও বেশি রাজস্ব উপার্জন করে দিতে পারব খুলনা সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব খাতে।