আবু তালহা রাফি হাটহাজারী উপজেলা প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পর থেকেই সারাদেশে শিক্ষার্থীদের উপর পৈশাচিক হামলা শুরু করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং তাদের ভাড়া করা টোকাই বাহিনী।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩:৩০ এ ষোলশহরে অবস্থান করার কথা ছিলো শিক্ষার্থীদের। কিন্তু দুপুর ২:০০ থেকেই ষোলশহর দখল করে নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসময় শহরের ২নং গেট থেকে ৫০-৬০ জন করে গ্রুপে ভাগ করে বিভিন্ন দিকে পাঠিয়ে দেয়।যারা অনেক শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশগ্রহণে বাধা প্রদান করেন। এদিকে ৫০-৬০ জনের ছাত্রলীগের দল মুরাদপুরে অবস্থিত কিছু শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা করে। যাদের একজন প্রকাশ্যে গুলি করলে অবস্থা আরো ভয়ঙ্কর হয়। কিছু সময় ধাওয়া পালটা ধাওয়া হওয়ার পর বাকি শিক্ষার্থীরা যোগ দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায় এবং মুরাদপুর শিক্ষার্থীদের দখলে চলে আসে। এরপর একের পর এক ধাওয়া পালটা ধাওয়া হতে থাকে। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অনেক টোকাই ছাত্রলীগের হয়ে লড়াই করতে দেখা যায়।
ছাত্রলীগের কিছু কর্মীরা একটি ভবন থেকে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে।এতে কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু শিক্ষার্থী ওই ছাত্রলীগের ঢিলকে উপেক্ষা করে ভবনের ছাদে পৌছে যান। পৌছানোর সাথে সাথে ৪-৫ জনকে লাঠিপেটা করা হয় বাকি কয়েকজন ভয়ে ছাদ থেকে নামার জন্য পাইপের ব্যবহার করতে থাকেন। এর মাঝে কয়েকজন ছাদ থেকে পরে যায় এবং বাকিরা পাইপ দিয়ে নামার সময় শিক্ষার্থীদের হাতে পড়ে। এমতাবস্থায় তাদেরকেও লাঠিপেটা করা হয়।
আনুমানিক পৌনে ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধাওয়া পালটা ধাওয়া চলতে থাকে।
ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় ৩জন নিহত হোন যাদের মধ্যে ২জন সাধারণ পথচারী আর ১জন শিক্ষার্থী, এছাড়া প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় যাদের মধ্যে ৬-৭ জনের অবস্থা আশংকাজনক।অন্যদিকে ছাত্রলীগের অনেকেই আহত হওয়ার কথা জানা গেছে এর মধ্যে ভবনে অবস্থানরত ছাত্রলীগের কর্মীদের সবার অবস্থা আশংকাজনক।