মোঃ আশরাফুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি.
মানিকগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ জন ।
বৃহস্পতিবার (১৮ই জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের উত্তর সেওতা ও কোর্ট চত্বর এলাকা থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করে।
এসময় খালপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আজকে সকাল ১০টা থেকে মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হতে থাকে স্কুল-কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে কোটা বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করতে গেলে খালপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীদের বাধার মুখে পরে। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশ কেনো আমাদের ভাই-বোনদের উপর হামলা করলো। কেনো তারা আমাদের শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝড়ালো। আমরা এর বিচার চাই। পুলিশ আমাদের উপর টিয়ারসেল মারছে। ছাত্রলীগ আমার ভাই-বোনের রক্ত ঝরিয়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবেই। তবে জরুরি যানবাহন অ্যাম্বুলেন্স ছেড়ে দিচ্ছি।
পরে বেলা ১২ টার দিকে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ ও কোর্ট চত্বর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অপর একটি মিছিল বের করে। তাদের মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০-৪০ জন আহত হয়েছে।
ঘটনা নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের উত্তেজনা ও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। আহত শিক্ষার্থীরা জেলা সদর হাসপাতাল, মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।