মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া কলেজ রোডে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বুধবার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।এ সময় তারা জানিয়েছেন সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় তারা নিজেরাই স্বেচ্ছায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে যানজট নিরসনে কাজ করছেন।জানা গেছে- গত সোমবার ৫ ই আগষ্ট দুপুরে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সোনারগাঁয়ে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে লাখো ছাত্র জনতা।এ সময় বিক্ষুব্ধ অনেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িঘরে হামলা করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।এ সকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার পরেও উপজেলায় পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি।এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কিছু কিছু দোকানপাট খোলা হলে দুপুরের দিকে যানজট বাড়ে এই ব্যস্ততম রাস্তাটিতে।এ সময় কোনো ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় সমস্যা সৃষ্টি হয়।তাই শিক্ষার্থীরা বুধবার সকাল থেকে এই ব্যস্ততম রাস্তাটির সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে।বিশেষ করে ব্যস্ততম রাস্তার আশপাশের এলাকায় সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কলেজ রোডে সুমি মেডিসিন ফার্মেসির সামনে সোনারগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোঃরুমান,মোসাঃআরিফা,পারভেজ,সোহান ও সিনথিয়া বলেন-ট্রাফিক পুলিশ ভয়ে পালিয়েছে।তারা ভয় পাচ্ছে যে সড়কে নামলে তাদের উপর হামলা হতে পারে।সেজন্য কেই অসেনি বিধায় আমরা তাদের কাজগুলো এখানে করছি।দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত আমরা ১৫ জন এখানে আছি কোনো সমস্যা হয়নি।সবাই আমাদের সাধুবাদ জানিয়েছে।সাদিয়া মেডিসিন কর্নার সামনে এক নারী শিক্ষার্থী মোসাঃ তোয়া বলেন-খুবই ভালো লাগছে যে সবার জন্য কাজ করতে পারছি।রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ করছি বলে তো আর ছোট হয়ে যাইনি।সবাই এটাকে ভালো বলছে এবং তা শুনে ভালো লাগছে।আমাদের মতো তরুণদের উচিৎ দেশের মানুষের সেবায় এভাবে এগিয়ে আসা।আমরা সড়কে আছি বাকিরা অন্য জায়গাগুলো দেখলে ভালো হবে।শুনেছি আশপাশের এলাকায় লুটপাট হচ্ছে,তাই সেটাও আমাদের দেখা উচিৎ।শিক্ষার্থীরা সড়কে দায়িত্ব পালন করায় সব ঠিক মতো হচ্ছে জানিয়ে দূর্গাপ্রসাদ এলাকার এছেক ফকিরের ছেলে কামাল নামে এক অটো চালক বলেন-শিক্ষার্থীরাই ঠিক আছে,কোনো ঝামেলা নাই।এতোদিন আমরা টাকা ছাড়া গাড়ি চালাইতে পারতাম না।এই রাস্তাটিতে ঢুকলেই লাইনম্যানকে টাকা দিতে হইতো।আজকে সারাদিন ছাত্ররা কাজ করছে দেইখা কোনো টাকা লাগে নাই।