জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ে দোকান-পাট, বাড়ি-ঘরে হামলা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সাহাদাৎ হোসেনসহ তার ভারা লোকজনের বিরুদ্ধে।
গত ৫ আগষ্ট বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউপির পানিমাছ পুকুরী বাজারে ঘটনাটি ঘটে।
পানিমাছ পুকুরী বাজারের মো: হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মাকসুদা আত্তার সুইটির লিখিত অভিযোগে জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছ পুকুরী বাজারে স্বামী হাবিবুর রহমান সার কীটনাশক ও গালামাল ব্যবসায়ী।
গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ ইং দেশের সৃষ্ট সমস্যার প্রাক্কালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে কতিপয় দুস্কৃতিকারী চাঁদা দাবী ও জমি দখলের হুমকি দিয়ে আসছিল।
ঘটনার দিন ৫ আগষ্ট বিকেলে পানিমাছ পুকুরী বাজারে আমাদের দখলীয় জমিতে উত্তোলন করা দোকান পাটে হামলা, মালামাল লুট করে ও দোকানে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। বাঁধা দিতে গেলে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে সাহাদাৎ হোসেনসহ তার ভারা লোকজন বাড়িতে হামলা চালায় একপর্যাযে বাড়িতে আগুন দেয়।
এসময় বৃদ্ধ মা, ছোট দুই শিশুর চিৎকারে এলাকাবাসীর সহতায় আগুন নেভানো হয়। আগুনের হাত থেকে বৃদ্ধ মা ও ছোট দুই শিশু প্রাণে রক্ষা পায়।
এদিকে ওই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সাহাদাৎ হোসেন হাবিবুর রহমানের নিকট মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন। দাবী পুরুন করা না হলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
সুইটি আরো জানান, পুরে যাওযা দোকান পাট মেরাত করে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকি।
গোপন সংবাদে আমরা জানতে পারি ওই বিএনপি নেতা সাহাদাৎ হোসেন চাঁদা দাবীর টাকা না পাওয়ায় কতিপয় দৃস্কুতিকারীদের নিয়ে তার বাসায় জমায়েত করতেছেন। যে কোন সময় আবার আমাদের দোকান পাট ও বাসা বাড়িতে হামলা করতে পারে।
তাদের ভয়ে রাত জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে। লিখিত অভিযোগে জানা যায় , সাহাদাৎ হোসেন ক্ষমতায় থাকা কালীন ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করে আমাদের ভোগদখলীয় জমি জবর দখল করতে গেলে আমরা মামলা দায়ের করি। কিন্ত মামলান রায় না হতেই সাহাদাৎ হোসেনসহ তার ভারা করা লোকজন দোকান পাট দখলের পায়তারা করতেছেন।
এদিকে অভিযুক্ত হাফিজাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সাহাদাৎ হোসেনের মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তাকে মুঠো ফোনে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।