আব্দুল গাফফার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও মালামাল লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালানো হয়। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ শেরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিরইল কাজীপুর যমুনাপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী মো. মনিরুজ্জামান মনির এই অভিযোগ করেন। এসময় তাঁর স্ত্রী মাহমুদা খাতুন, মেয়ে মরিয়ম খাতুন ও ছেলে মুকিতুল হক উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের বিচার দাবি করে লিখিত বক্তৃতায় মনিরুজ্জামান আরো বলেন, বিগত ২০১৮সালে আড়াই লাখ টাকায় একই এলাকার নুরুল ইসলামের নিকট থেকে পাঁচ শতক জমি ক্রয় করেন তিনি। এরপর সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। পাশাপাশি প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স কর পরিশোধও করা হয়। কিন্তু এরআগেই স্ত্রীর নামে জমিটি দলিল করে দেন নুরুল ইসলাম। ভুক্তভোগী মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমার সঙ্গে প্রতারণা করায় নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেই।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিগত ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা দশটার দিকে প্রতারক নুরুল ইসলাম ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সর্জিত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। সেইসঙ্গে বাড়িটি ভাঙচুর করে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা লুটে নেয়। এমনকি স্ত্রী মাহমুদা খাতুুনকে শ্লীলহানীর পাশাপাশি বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। যাওয়ার সময় এই ঘটনাটি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে স্ব-পরিবারে হত্যার হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায় বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। এদিকে ঘটনার পরপরই থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এতে প্রতিপক্ষের লোকজন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনাতিপাত করছি। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন তিনি।জানতে চাইলে শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, থানায় জনবল কম থাকায় আইনগত পদক্ষেপ নিতে একটু বিলম্ব হয়েছে। তবে ঘটনাতি গুরুত্বে সঙ্গে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।