মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাবিলগঞ্জ ঈদগাহ ও সরকারি প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় সরকারি বরাদ্দকৃত হালটসহ নদী ও ঘাট এর জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করেছেন এলাকার প্রভাবশালী মহল।জানা যায়,কাবিলগঞ্জ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোঃশামসুদ্দিন মিয়ার ছেলে আশরাফ উদ্দিন কাবিলগঞ্জ ঈদগার পাশে মেরিখালি মৌজা আরএস- ৩৭৪ ও ৩৭৫ এসএ-২০৫ ও সিএস ৫৬ দাগের ২৩ শতাংশ ও সরকারি হালট ৭ শতাংশসহ মোট ৩০ শতাংশ জায়গা তারা বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে।নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এলাকাবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানায়,আমরা কাবিলগঞ্জ বাসি দীর্ঘদিন যাবত সরকারি ঘাটলা দিয়ে এলাকার মা-বোন সহ সবাই গোসল করে আসছি।সরকারি নকশা পর্চায় সরকারি হালটের দাগ কাটা রয়েছে,তাই জনগণের সুবিধার্থে সরকারি জায়গা দিয়ে জনগণ সুবিধা ভোগ করবে।সরকার আমাদেরকে লিখিতভাবেই হালট ও ঘাটসহ নদী ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছেন।এখন আমাদের এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকদের ভয়ে আমরা কেউ কিছু বলতে পারছি না।কোন কিছু বলতে গেলে গুম খুনের ভয় রয়েছে।কিছুদিন পূর্বে এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে যুবক শিমুলকে দিবালোকে প্রকাশ্যে পায়ে গুলি করে আশরাফ এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি করেছেন।স্থানীয় কাউসার পিতা জয়নাল মিয়ার ছেলে কায়সার মিয়ার ঘরবাড়ি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগুনে দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন আশরাফ।এই ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে এলাকার কোন লোক তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায়।আগুনে ঘরবাড়ি পোড়ানোয় ঘটনার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ডিবি কার্যালয়ে এই প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া রয়েছে।খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা বালু ভরাটের বিষয়ে মহলের আশরাফকে সরকারি জায়গা দখল করে বালু ভরাট করছেন কেন প্রশ্ন করলে?উওরে আশরাফ বলেন-আমি এখানে একটি আধুনিক মাদ্রাসা তৈরি করার জন্য জমি ভরাট করতেছি।সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা মাদ্রাসা উদ্বোধনের দিন আসবেন দোয়ায় শরীক হবেন।সংবাদকর্মীরা আশরাফকে গোসল করার ঘাটলাটির ব্যাপারে জানতে চাইলে,তিনি বলেন ঘাটলাটি নতুন করে মেরামত করে দিবো।মহলের কেউ কেউ বলছেন,এখানে কোন গোসলের কোন ঘাটলাই ছিলো না।কিন্তু সরকারি পর্চা নকশায় হালটসহ ঘাটলার উল্লেখ পাওয়া যায়।বালু ভরাটের বিষয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ঘটনার অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখি,সরকারি হালট বিনা অনুমতিতে বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে আশরাফ গং।আমি তাদেরকে হালটের জায়গা ছেড়ে দিয়ে বালু ভরাট করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি এবং বালু ভরাটের বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ডকে অবগত করেছি।তারা আমাকে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য আদেশ দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলেছেন।