নিজস্ব সংবাদদাতা:
দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও, বাবার মুক্তিযোদ্ধার কোটাই চাকরি নিয়ে এখনো চাকরিতে বহাল, ঢাকা কলেজ সাবেক ছাত্রলীগে কর্মী আশিকুর রহমান ।
পিতার মুক্তিযুদ্ধের কোটায় আপন চার ভাই নিয়েছেন সরকারি চাকরি।
গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন আরেকজন গণমাধ্যম কর্মী জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক তরুণ সাংবাদিক মাহামুদুল কবির নয়ন।
সকল গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে সাংবাদিক মাহমুদুল কবির নয়ন দেশ চ্যানেলকে জানান,
ছাত্রলীগের ক্যাডার হবার কারণে আওয়ামী লীগের আমলে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আশিকুর রহমান। তার বিরুদ্ধে নিউজ করতে যাওয়ার কারণে সাংবাদিকদের হত্যার চেষ্টা করেছে এমন অভিযোগ করেছেন তিনি।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ এ ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া এলাকায় মাদকের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক মাহামুদুল কবির নয়ন।
১৬ ফেব্রুয়ারী রাতে ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন তিনি। পরবর্তীতে
প্যানেল কোড ১৮৬০ এর ১৪৩/৩৪২/৩২৫/৩০৭/৫০৬ দেখিয়ে ১ জনকে গ্রেপ্তার করেন ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ।
বাকিরা পলাতক ও অজ্ঞাত রয়েছেন এখনো।
ক্ষমতাশীল দল থাকাকালীন পিতার মুক্তিযুদ্ধের সনদের অবৈধ ফায়দা নিয়ে এক পরিবারের চার ভাই করেছে সরকারি চাকরি।
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কাজি পাড়া এলাকার আব্দুস সালাম এর ছেলে আশিক।
ঢাকায় পড়াশুনা করার সুবাদে পড়েছেন ঢাকা কলেজে, করেছেন ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগে যুক্ত থাকা অবস্থায় অসংখ্য ছাত্র লাঞ্চিত ও অধিকার ক্ষুন্ন করার মতন অভিযোগ উঠেছে আশিকুর রহমান এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,
সরকারি চাকুরিতে বহাল থাকা অবস্থায় ঝিনাইদহ চাকলাপাড়া এলাকা সহ কিছু মাদক সিন্ডিকেটের সাথে আড়ালে জড়িত রয়েছে আশিকুর রহমান।
মাদকের অনুসন্ধানে ঝিনাইদহ চাকলাপাড়াই অনুসন্ধানে যাওয়ার পর নতুন ভাবে অজ্ঞাত হিসাবে নাম উঠে আসে আশিকুর রহমানের।
সাংবাদিকরা আশিকুর রহমানকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করবে এমন তথ্য তিনি আগেই জানতে পেরেছেন তার সোর্সের মাধ্যমে।
তথ্য জানার সাথে সাথেই মুঠোফোনে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাংবাদিক মাহামুদুল কবির নয়নের উপরে আক্রমণ করার জন্য।
আগেই কেন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি এমন প্রশ্নে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান,
মুক্তিযোদ্ধা ও তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতায় থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেননি সাংবাদিক মাহামুদুল কবির নয়ন। ব্যবস্থা নিয়েই বা কি করবেন, ক্ষমতা থাকার কারণে তারা মানুষকে মানুষ মনে করেননি। নিজের খেয়াল খুশিমতো যা ইচ্ছে তাই করেছে। নিজেকে মনে করেছেন রাজা আর আশেপাশের সব মানুষকে মনে করছেন গোলাম।
যখন হুমকি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে কোন কিছুতেই চুপ করাতে পারছিলেন না সাংবাদিকদের। পরবর্তীতে দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর প্রকাশক ও সম্পাদক এবং জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদককে লক্ষ্য টাকা দিয়েও ম্যানেজ করতে চেয়েছেন আশিকুর রহমান।
সর্বশেষ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে নতুন ভাবে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক মাহামুদুল কবির নয়ন।