বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
পেশাগত সিন্ডিকেট কালোবাজারি ব্যবসায়ীদের রুখে দিতে খুলনায় ছাত্র সমন্বয়কদের উদ্যোগে শুরু হয়েছে বিনা লাভের বাজার।
উল্লেখ্য গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে দেশ থেকে পলায়নের পরে দেশের বিভিন্ন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা সক্রিয় অবস্থায় থেকে কালোবাজারি ব্যবসা করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। ফলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সহ ভোক্তা অধিকারের কর্তারা বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখার লক্ষ্যে তাদের বিভিন্ন কায়দায় চাপ প্রয়োগ করলেও কোন সুফল হয়নি এমনকি তাদের কোনোক্রমে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না বিধায় খুলনা অংশের বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দেশের দ্রব্যমূল্যের ক্রান্তিলগ্নে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়ে বিনা লাভে পণ্য বিক্রয়ের মহত উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ সময় ছাত্র সমন্বয়করা বলেছেন দেশব্যাপী নিত্যপণ্যের দাম যখন আকাশ ছুঁয়েছে এবং নিম্ন মধ্যম আয়ের মানুষদের ক্রয় ক্ষমতার সাধ্য সমর্থের বাইরে ।
এবং উন্মত্ত লাগামহীন পাগলা ঘোড়া নিত্যপণ্যের বাজার। আর এতে করে সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই। এ অবস্থায় সাশ্রয়ী দামে সাধারণ মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের উদ্দেশে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) খুলনায় ‘বিনা লাভের দোকান’ শুরু হয়েছে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা’র ব্যানারে সাধারন শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নগরীর শিববাড়ীর মোড়ে শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ দোকান চালু হয়েছে। ভিন্ন রকম এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।সরেজমিনে দেখা যায়, বিনা লাভের দোকানে ডাল ১ কেজি ৯৯ টাকা, ডিম ১ পিস ১২ টাকা, আলু ১ কেজি ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ১ কেজি ১০০ টাকা ও লাউ ৪০ টাকা ও লালশাক ১২ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এখানে বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, বাজারের উর্ধ্বগতির সাথে দাম বাড়ানোর পাল্লা তাতে এই উদ্যোগ কিছুটা হলেও কাজ করবে। এখানে শিক্ষার্থীরা যে আলু বিক্রি করছে তার দাম ৫০ টাকা অথচ বাজারে একই আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। এই দামের পার্থক্য কমাতে শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ সফল হবে বলে আশা করি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার বাজার নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্সের সদস্য হৃদয় ঘরামী বলেন, বিনা লাভের দোকানে ৫ই আগষ্টেরর বিজয়েরপর সৈরাচারী সরকার পালালেও তাদের দোসররা এখনও এই দেশে রয়ে গেছে, যারা এই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। যার ফলে হঠাৎ করে বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফেরাতে এবং বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লড়তে আমাদের এই পদক্ষেপ।তিনি আরও বলেন, আমরা এই মুহুর্তে শিববাড়িতে একটি দোকানের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করি বিনা লাভের দোকান আমরা নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে খুব দ্রুতই ছড়িয়ে দেবো। এর ফলে বিভিন্ন বাজারে যেসব সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে তা ভেঙে দেওয়া হবে।