মিলন হোসেন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুরে বসতবাড়িতে হামলা হয়েছে । এতে আহত হয়েছে ৩ জন । শেরপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে, প্রশাসনের নিরাবতা নিয়ে ভূক্তভোগী পরিবারের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর থানাধীন ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিনপুর নতুন কলোনী এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়ি থেকে ৩ পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টায় সন্ত্রাসী হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন। থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও প্রতিপক্ষ হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্ত
ক্তোগী পরিবার।
অপরদিকে প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিরাপত্তার আশংকায় থাকা ঐ সব পরিবার। আমিনপুর নতুন কলোনীর মোহাম্মাদ আলী মিয়া সরদারের পুত্র ছানোয়ার সরদার (৪২) বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় হাজির হয়ে আমিনপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত সোনা উল্লাহর পুত্র নজরুল ইসলাম (৫০), মজনু শেখ (৪৫), বাবলু শেখ (৩৬), নজরুল ইসলামের পুত্র নাঈম শেখ (২৪), হাপুনিয়া গ্রামের আয়নাল শেখের পুত্র মাসুদ রানা (২৮), টাউন কলোনীর আমানুল্লাহর পুত্র হযরত আলী (৫৫), দশগ্রামের মৃত বুদা শেখের পুত্র রঞ্জু শেখ (৪০), শাহজাহান আলী (২৮), ছানা শেখের পুত্র পলাশ (২২), শহিদুল ইসলামের পুত্র জুয়েল (২৫), এবং জসিম (২২), সর্বথানা-শেরপুর, জেলা-বগুড়াগন সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।
ছানোয়ার সরদার তার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ১৮/১২/১৯৬৫ তারিখে শেরপুর থানাধীন আশগ্রাম মৌজার জেএল নং-১৯০, খতিয়ান নং-২৪, সাবেক দাগ নং-১০৩৫, জমির পরিমান ২.২৬ একর এলটম্যান্ট সম্পত্তি জেলা প্রশাসক মহোদয় আমার দাদা মৃত দুদু সরদার সহ মোট ১৬ (ষোল) পরিবারকে বরাদ্দ দেয়। উল্লেখিত, সম্পত্তির মধ্যে আমার দাদা দুদু সরদারকে ৩২ (বত্রিশ) শতক জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইং- ০৬/০৬/১৯৯৩ তারিখে দলিল নং-৩৫৯০ মূলে জেলা প্রশাসক মহোদয় আমার দাদার ভাই মৃত সফর আলী শেখ এর নামে সেল এন্ড এ্যাগ্রিমেন্ট মূলে দলিল প্রদান করেন। উক্ত সম্পত্তিকে কেন্দ্র করিয়া উপরোক্ত বিবাদীগনের সহিত আমাদের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলা সহ বিজ্ঞ আদালতে মামলা/মোকদ্দমা বিচারাধীন রয়েছে।
উক্ত সম্পত্তিতে আমরা বসত বাড়ী তৈরী করিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। গত ০৪/০৮/২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান সাড়ে ১২ ঘটিকার সময় উপরোক্ত বিবাদীগণ বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া হাতে লোহার রড, লোহার শাবল, কোদাল, বার্মিজ চাকু, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র সজ্জে সজ্জিত হইয়া শেরপুর থানাধীন ভবানীপুর ইউপির অন্তর্গত আমিনপুর নতুন কলোনী গ্রামস্থ নালিশী সম্পত্তিতে থাকা আমার মামা মোঃ আবুল হাসেম, ফুফু মোছাঃ আলেয়া বেগম, বোন তহমিনাদের বসত বাড়ীর ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করিয়া তাহাদের মারপিটে লাঠি ও চাকুর আঘাতে আমার বোন তহমিনার মাথার মাঝ খানে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত যখম হয়।
এ সময় আমার ফুপু আলেয়া, আমার মামা হাসেম আলী-কে লাঠি ও রডের এলোপাথারী আঘাতে ছেলা ফুলা কালশিরা যখম করে। আহতদের আমার মামাত বোন জান্নাতি আগাইতে আসিলে বিবাদী তাকে লক্ষ করে ধারালো চাকু দ্বারা মাথায় আঘাত করিলে জান্নাতি দুই হাত দ্বারা প্রতিহত করিলে বাম হাতের তিন আঙ্গুল কাটিয়া রক্তাক্ত গুরুতর যখম হয়। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করতে আমার ফুপাত ভাই নাইম আগাইয়া আসিলে বিবাদীদের চাকুর আঘাতে নাঈমের কপালের ডান পাশে লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত যখম হয়।
সকল বিবাদীগন আমার মামা আবুল হাসেম, ফুফু আলেয়া বেগম, বোন তহমিনাদের বসত ঘর সহ ঘরের আসবাপত্র ভাংচুর করিয়া অনুমান ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং আমার মামা হাসেম এর ঘরের ভিতরে থাকা ট্রাংকের তালা ভাঙ্গিয়া ট্রাংকে রক্ষিত নগদ ৬০ হাজার টাকা নেয়।
তখন জখমীদের ডাক চিৎকারে আশপাশ হইতে লোকজন আগাইয়া আসিলে সকল বিবাদীগণ জখমীদেরকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ,খুন, জখমের হুমকি প্রদর্শণ করিয়া হামলা কারীরা চলিয়া যায়।