মোঃ আমিরুল ইসলাম পঞ্চগড় জেলাপ্রতিনিধি।
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে বিরোধীয় জমির তদন্ত প্রতিবেদন অর্থের বিনিময়ে একতরফা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।প্রতিবেদনে জমিতে কয়েকটি আম গাছ, ছোট-বড় ৬০ টি সুপারি গাছ,২-৩ টি ছোট কাঁঠাল গাছসহ ১ম পক্ষ জবায়দুর রহমানের দখলে রয়েছে দাখিল করা হয়।ভুক্তভোগীরা জানান,রাধানগর গ্রামের শিউলি বেগম,ওমর ফারুক ও আহম্মদ আলীর ভোগ দখলে প্রায় আট বছর ধরে।এমনকি সুপারি গাছ হাজার হাজার ও অন্যান্য গাছও রয়েছে জমিতে, এমনকি ইট বালি মজুত করে ঘর নির্মাণ চলমান। পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন ও ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়,গত বছরের পহেলা অক্টোবর আটোয়ারী রাধানগর এলাকার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে জবায়দুর রহমান একই এলাকার শিউলি,ওমর ফারুক ও আহম্মদ আলীকে বিবাদী দিয়ে মামলা দায়ের করে।সেখানে উল্লেখ করা হয় এস এ ৬০৪৫ নং দাগে অনধিকার প্রবেশ করে পাঁকা ঘর নির্মানের জন্য উদ্যোগ নেয় ওমর ফারুক।তাদের অন্যায় কাজে বাধা দিলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় তারা।মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক তদন্ত দেয়।যার নম্বর ৪২৪/২৩। তদন্ত করে রাধানগর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দিলে, ২২ সেপ্টেম্বর আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।স্থানীয়রা বলেন, শাহাজাহান, তরিকুল, দানেশ, বিগারু,ছলেমানসহ একাধিক মানুষের কাছে জমি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে তার বাবা বজলুর রহমান,কিন্তু তার মৃত্যুর পরে ছেলে জবায়দুর ও অলিউর রহমান জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি।ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার বার বার হুমকি দিলে পরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আহম্মদ আলী জানান,২০১২ সালে হামিদা বেওয়ার কাছে জমি ক্রয় করেছি।১৬ সাল থেকে ভোগ দখল করছি।খারিজ করে ৯ শতক জমি শিউলি ও তারা বানুর কাছে বিক্রি করি।এতদিন কেউ কিছু বলেনি। সম্প্রতি ঢাকা থেকে জবায়দুর রহমান এসে ঝামেলা করছে।ঘর তুলতে গেলে বাধা দেয় এবং আমাদের নামে মামলাও করেছে।সেই মামলার তদন্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সরজমিনে না আসেই একতরফা প্রতিবেদন দিয়েছেন।
জবায়দুর রহমান জানান,আহম্মদ আলী যে দাগে জমি ক্রয় করেছে সেটা পড়ে আছে অথচ আমাদের জমি দখল করে বিক্রি করেছেন।
অভিযুক্ত রাধানগর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এর সাথে মুঠোফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিষয়টি জানালে ব্যস্ত দেখিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফোন কেটে দেন।