ইয়াছিন আলী ইমন
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১২৬ মিলিমিটার। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে নীচু এলাকার আমন ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় ও খাল বিলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। গতকাল থেকে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষেরা।
রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বৃষ্টিপাতের এ তথ্য জানিয়েছেন রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া।কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মন্নেয়ার পাড় এলাকার রিকশা চালক ফজলুল রহমান বলেন, বৃষ্টির জন্য গতকাল বের হতে পারিনি। আজ বৃষ্টিতে ভিজে অটো রিকশা নিয়ে বের হলেও ২-৩ ঘণ্টা হয়ে গেছে তবু একজনও যাত্রী নেই। কালীগঞ্জ ইউনিয়নের হাবিবুর রহমান বলেন, গতকালের টানা বৃষ্টিতে আমার দুইবিঘা জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে, এরকম বৃষ্টি হতে থাকলে সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে। অনেক কষ্ট করে সেচ দিয়ে জমিতে ধান আবাদ করেছি। এতোদিন বৃষ্টির দেখা নাই। আর এখন অতিমাত্রায় বৃষ্টি।এদিকে বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতে পানি বাড়লেও এখনো বিপৎসীমার অনেক নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাছাড়াও দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, জেলায় টানা বৃষ্টিপাতের ফলে ৩৩৫ হেক্টর জমির আমন ও ৫০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, পানি নেমে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।