মুন্না ইসলাম আগুন দুর্গাপুর প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ সাবরিনা শারমিন যোগদানের পর থেকেই নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করে চলেছেন এখন পর্যন্ত।
গত ১৯ আগষ্ট ২৪ যোগদানের প্রথম সপ্তাহে সারা দেশের ন্যায় দুর্গাপুর উপজেলা জুড়ে সরকারি অনেক খাসপুকুর নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় । তিনি উভয় পক্ষকে ডেকে সমঝোতা করেন। লীজ গ্রহীতার আগ্রহ থাকলে তাকে তার মেয়াদ পর্যন্ত পুকুর দখল নিশ্চিত করে দিয়েছেন।পুকুর সংক্রান্ত কোনো চাঁদাবাজি অভিযোগ পেলে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনসাধারণের আস্থা অর্জন করেছেন। উপজেলা জুড়ে যেকোনো প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির নিকট হইতে চাঁদাবাজি রোধে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করেন। উপজেলা জুড়ে যেকোনো স্থানে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট , সরকারি বৃক্ষ কর্তন হলেই সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সরকারি সহায়তার খাদ্য, টিসিবি পণ্য বিতরণ, দরিদ্রদের জন্য স্বল্পমূল্যের চাউল বিতরণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করে আসছেন তিনি । দুর্গাপুরের জনসাধারণ যে কোনো সমস্যায় ভোগান্তি ছাড়াই তাঁর নিকট উপস্থাপন করতে পারেন, তাঁর কাছে আসতে কোন অনুমতি প্রয়োজন হয় না।
ইউএনও সাবরিনা শারমিন তদবির, চাপ উপেক্ষা করে সততা নিষ্ঠার মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সকল স্তরে জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন ।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তিনি ( সাবরিনা শারমিন ) দুর্গাপুরের দ্বায়িত্বে থাকা অবস্থায় তাদের স্বার্থ হাসিল করতে পারছেন না । অর্থাৎ চাঁদাবাজি, দখলবাজি, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে সুবিধা নিতে পারছেন না ।
তাই তারা এই সৎ মানুষটাকে দুর্গাপুর থেকে বদলি করা এবং তাঁর সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে একের পর এক পন্থা অবলম্বন করে চলেছেন।
তারই জের ধরিয়া গত ২৬শে নভেম্বর আওয়ার বাংলাদেশ নামক পত্রিকায় ” নির্বাহী কর্মকর্তার স্বজনপ্রীতিতে বিপাকে স্থানীয়রা” এই শিরোনামে এটি সংবাদ প্রকাশ হয় ।
উক্ত প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা জানার জন্য দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সাবরিনা শারমিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, উক্ত নিউজ মন গড়া ও ভিত্তিহীন। ভাল কিছু করতে গেলে এমন মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত কিছু বিক্ষুব্ধ ঘটনা ঘটবে । একটা মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়া যে কোন সৎ মানুষের লক্ষ্য। যত বাধা আসুক আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হোক আমি আমার নীতি ও দায়িত্ব থেকে এক চুলও সরে দাঁড়াবো না।
ইউএনও অফিস থেকে বের হওয়ার নূরজাহান বেগম (৪৬) নামের এক ব্যক্তির কাছে সাবরিনা শারমিন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যাডাম খুব ভাল । আমাক চেয়ারে বসতে দিছে, নাস্তা দিছে, অনেক সময় আমার সাথে কথা কছে, আরেক স্যার কে ডাক দিয়া আমার কার্ডের ব্যবস্থা করতে বুললেন। আমার ঐখান কার মেলা মানুষের মুখে তার সুনাম সুনিছি আজ দেখনু। বড় স্যারেরা সব এমন হলে দেশের ভাল হবে।
দুর্গাপুরের সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্নঃ কে বা কারা এই সৎ মানুষটাকে এখান থেকে সরাতে চাই এবং তার সুনাম ক্ষুন্ন করছেন তা তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের।