মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুর জেলা কালকিনি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সন্দীপন মজুমদার সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন এর পক্ষে ফেসবুকে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দিয়ে জেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। অপসারণের দাবি করেন সুশীল সমাজ।
গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর)রাতে তার নিজ ফেইসবুক আইডিতে মৎস্য কর্মকর্তা সন্দীপন মজুমদার লেখেন,জঙ্গি সংগঠন হলেও নিম্নোক্ত কাজগুলো করে (আর্ত মানবতার মহান সেবায় ব্রতী হয়ে) কেন –
১) রোজায় রোজাদারদের ইফতারি দেয় ২) ঈদে গরীবদের নতুন কাপড় চোপড় দেয় ৩) বন্যায় বন্যা দুর্গতদের সহায়তাও দেয়।এরপরেও যদি নিষিদ্ধ করা লাগে, করেন। আপনাদের “যা ভালো লাগেচ্ করে যান। জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন “নিষিদ্ধ করেই, আগের মতো কারো পতন না হয়ে যায়, আবার।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা করে এক ঢিলে দুই পাখি মারার অংশ হিসেবে এমন স্ট্যার্টাস দেন।
স্ট্যাটাসটিতে তিনি বেশ কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ট্যাগও করেন।
একজন সরকারি কর্মকর্তার জায়গায় থেকে করা এমন স্ট্যাটাসকে সরকারি চাকরির আচরণবিধির লঙ্ঘন বলছেন এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন এবং দ্রুত অপসারণ দাবিও করেন।
এ দিকে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে তাকে সর্তক করা সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জানান।
আর সমালোচিত এই মৎস্য কর্মকর্তা সন্দীপন মজুমদার পরদিন বিষয়টি নিয়ে জেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে ফেইসবুকে করা বিতর্কিত ওই স্ট্যাটাসটি কেটে দেন।এবং নতুন করে ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এক স্ট্যাটাসে লিখেন,গত পরশুদিন রাতে ইসকনের কাজ কাম, এটাকে নিষিদ্ধ করা ও এটাকে কে কি করবে এসব নিয়ে যে পোষ্টটি করেছিলাম তা অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে প্রকাশিত হয়ে গেছে।এতে যদি কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে তা আমার ইচ্ছা কৃত নয়।
এটা আমার ভুলে ও অনিচ্ছায় হয়েছে। আমি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থী ও সকলের কাছে মাফ চাচ্ছি।আর উক্ত পোস্টটি ডিলিট করেও দিয়েছি।
জানা যায়, এর আগে তিনি ধর্মীয় বিষয় নিয়ে স্ট্যাটার্স দেন। সেখানে তিনি লিখেন,কোন অনুষ্ঠান আসলে ধর্মীয় পুস্তক পাঠ করে নয়,জাতীয় সংগীত গেয়ে দেশাত্মবোদ জাগ্রত করে সবকিছু শুরু করা উচিত, আমদের সবারি।
সরকারি চাকরিজীবীদেরকে ৭৯–এর কন্ডাক্ট রুল অনুযায়ী আচরণ করতে হয় বলে উল্লেখ করে সচেতন মহল বলেন, “শুধু ফেইসবুকে ক্ষমা চেয়ে তিনি আচরণবিধি লংঘনের দায় এড়াতে পারেন না। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কারন তিনি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী।
তিনি দীর্ঘ সাত বছর যাবত তার নিজ এলাকা কালকিনি উপজেলায় কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন,বিষয়টি আমার নজরে আসলে আমি তাকে ডাকলে তিনি আমার সামনে ঐ স্ট্যাটাসটি কেটে নতুন করে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন। যেহেতু তিনি মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে,তাই আমি তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।