বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমন্বয়কদের তোপের মুখে খুলনা ক্লাবের কমিটি বিলুপ্তি হওয়ার মাত্র চার দিনের ব্যবধানে এবার পদত্যাগের মাধ্যমে খুলনা ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন চেম্বার অব কমার্স এর সাবেক কমিটির সকল কর্মকর্তাগণ স্বেচ্ছায় পদত্যাগের মাধ্যমে বিলুপ্ত ঘোষণা করে ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা ২ টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ নিজ নিজ পদ থেকে অব্যাহতি নেন। এবং পুনরায় নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি খুলনা চেম্বার অব কমার্স এর সার্বিক কর্মকান্ড পরিচালনা করবে। এদিকে খুলনা চেম্বার অব কমার্সের বেশ কিছু সদস্যগণ অভিযোগ করে বলেছেন প্রায় দেড় যুগের মতন সময় ধরে কাজী আমিনুল হক আমিন ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার স্নেহধন্য ছোট ভাই শেখ সোহেলের আজ্ঞাবহ হয়ে এই প্রতিষ্ঠানটিকে জিম্মি করে রেখে তার ব্যক্তিগত পছন্দের নিজস্ব লোকজনদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে খুলনা জেলার ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন খুলনা চেম্বার অব কমার্স পরিচালনা করেছেন এবং কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য বিহীন অন্যান্য সাধারণ সদস্যদের অগোচরে বিনা হিসাবে প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাবেক কমিটির সভাপতি কাজে আমিনুল হক। এমনকি খুলনা চেম্বার অব কমার্সের বার্ষিক হিসাব পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা এবং সাহস কোন ব্যক্তিরই ছিল না এমনকি স্বেচ্ছাচারিতা করে অনেক অপকর্ম করলেও সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পেত না, এক কথায় বলা চলে খুলনা চেম্বার অব কমার্স ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান হলেও এটা ছিল আওয়ামী লীগের অন্যতম আখড়া আওয়ামী লীগ বিনা কোন ব্যবসায় এখানকার সদস্য হওয়ার ও সুযোগ পেত না। এ সকল অভিযোগের সূত্র ধরে খুলনার ছাত্র সমন্বয়ক সদস্যরা খুলনার বিশেষ বিশেষ প্রতিষ্ঠানের আওয়ামী লীগ পোষ্য বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পুনরায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে স্বৈরাচারমুক্ত করার অঙ্গীকার নিয়ে ছাত্র সমন্বয়কদের অগ্রযাত্রার এ কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে।