মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
অপারেশন থিয়েটারে(ওটি)’তে নিয়ে যাওয়ার আগেও জানান গর্ভে দুটি সন্তান রয়েছে কিন্তু অপারেশনের পরে রোগীকে দেয়া হলো একটি বাচ্চা! দ্বিতীয় বাচ্চা না দেয়ায় থানায় এমনই অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। গতকাল(১৭ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের কালকিনি মজিদবাড়ি ভুরঘাটা নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতালে।তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবী তাদেরকে ফাসানোর জন্য রোগীর স্বজনেরা মিথ্যা বলছেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামের ফয়সাল সরদার তার গর্ভবতী স্ত্রী আয়শা খানম এর প্রসব ব্যাথা দেখা দিলে কালকিনি উপজেলার মজিদবাড়ি ভূরঘাটা নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পূর্বের আলট্রাসনো করার কাগজ চাইলে ৭ ডিসেম্বর আল্ট্রাসনোর করা কাগজ দেখান। সেখানে দুটি বাচ্চা আছে দেখা পুনরায় হাসপাতালে কর্তব্যরত ডিএমএফ সাইফুল ইসলাম ওই রোগীর আল্ট্রাসনো করে যমজ বাচ্চা থাকা বিষয়টি তাদের নিশ্চিত করেন এবং তাদেরকে সিজারিয়ান অপারেশন করার পরামর্শ দেন ঐ চিকিৎসক। পরবর্তীতে তার পরামর্শক্রমে রাতে আয়েশা আক্তারের অপারেশন করানো হয়।অপারেশন শেষে রোগীর স্বজনদের জমজ বাচ্চার পরিবর্তে একটি বাচ্চা হয়েছে বলে জানানো হয়। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনেরা। তাদের দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেকোনো কারণে বাচ্চা সরিয়ে ফেলেছে।
হাসপাতালে ২৪ ঘন্টাই একজন এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা বললেও একজন ডিএমএফ দিয়ে আল্ট্রাসনো মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন।
ভুক্তভোগী আয়শা খানম বলেন, সিজারের সময় প্রথমে আমার ডান পাশে একটি বাচ্চা রাখেন।আমি তাকিয়ে দেখতে ছিলাম। ইতিমধ্যে আরেকটি বাচ্চা বের করে বাম পাশে ট্রেতে রাখতে ছিল।আমি তাকিয়ে দেখতে গেলে আমার মাথা হাত দিয়ে গুড়িয়ে রাখে। পড়ে বলেন আপনার একটি বাচ্চা হয়েছে। আমি আমার আরেকটি বাচ্চা চাই।
ভুক্তভোগীর স্বামী ফয়সাল সরদার বলেন, সাতদিন আগে আলট্রা করি, সেখানেও দুটি বাচ্চা জানান। গতকাল তারা আলট্রা করে বলেন দুটি বাচ্চা। তারাতাড়ি সিজার করতে হবে।
আমরা বলি করেন। সিজারের পরে বলেন একটি বাচ্চা। আমি আমার দুটি সন্তানই চাই।আমরা গতকালই রাতে কালকিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছে। হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাঃ মুসলিমা আক্তার ঐশী’র ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিক বার কল করলেও রিসিভ করেননি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন,সিজার করে একটি বাচ্চাই পাওয়া গেছে। তারা আমাদেরকে ফাসাতে এ অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান এঘটনায় একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।