বিপ্লব সাহা, :
আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।
স্বাধীনতার স্থপতি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ।
দিবস টি উপলক্ষে বাঙালি জাতির সাথে দেশ চ্যানেল পরিবার গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে।
এবং শোকময় তাৎপর্যপূর্ণ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ
শাহাবউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সাথে দেশ চ্যানেলের প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ তুহিন হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক বিপ্লব সাহা যৌথভাবে বিবৃতি দিয়ে গভীর দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আজকের বর্তমান নতুন প্রজন্মদের মাঝে অজানা ইতিহাস সম্পর্কে তুলে ধরে বলেছেন কোটি মানুষের প্রিয় নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্থপতি স্বপ্নদ্রষ্টা বাঙালি জাতির সূর্য সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অকৃতিম দেশপ্রেম বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ৭ ই মার্চের রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক বিশ্বকাপানো বজ্রকণ্ঠের ভাষণে বাংলাদেশ তথা সমগ্র বিশ্ব কম্পিত হয়ে ওঠে। সাথে বাংলার দামাল ছেলেদের রক্ত টগবগিয়ে ফুটে উঠেছিল।
এবং তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আহবানে ঘর ছেড়ে রাজপথে নেমে এসেছিল নিরাস্ত্র লাখো বাঙালি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৪৮ সাল থেকে দেশের অন্যতম জাতীয় নেতা মাওলানা ভাসানীর রাজনীতি পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের মানুষের কথা ভেবে পাকিস্তানীদের পড়াশক্তির শৃংখল থেকে দেশ মাতৃকাকে মুক্ত করতে ছাত্র জীবন থেকে অসহায় নির্যাতিত নিপীড়িত বাঙালির পাশে থেকে স্বপ্ন দেখেছিল স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র উপহার দিতে। এবং তিনি সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছিল ৩০ লক্ষ শহীদ আর তিন লক্ষ্য বিরঙ্গনা পাশে ছিল বিধায়।
তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে
আমরা আজ স্বাধীন বাংলার বাঙালি
পাকিস্তানি আলবদর রাজাকারদের শৃংখল থেকে পেয়েছি মুক্তি।
যার অকৃত্রিম ভালোবাসা ত্যাগ মহিমায় এবং এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছিল এই বাংলার স্বাধীনতা।
অথচ ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বিদেশি পরাশক্তির নীল নকশার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে বাংলার কিছু বিপথগামী সেনাবাহিনী বেইমানের দল গভীর ষড়যন্ত্র করে কি ঘটিয়েছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে।
যার কারণে সমগ্র বাঙালি জাতি আজও অভিভাবক শূন্য।
কি ঘটেছিল বাংলার মাটিতে নির্মম ঘটনা স্বপরিবারে আত্মহুতি দিতে হয়েছিল নরঘাতকদের বুলেটের আঘাতে।
মুহূর্তের মধ্য নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল আকাশ বাতাস বাকরুদ্ধ হয়েছিল সাত কোটি মানুষ মাঠে কাজ করা কৃষকের হাতের কাস্তে থেমে গিয়েছিল থেমে গিয়েছিল মাঝির হাতের বৈঠা ।
ওরা বাঁচতে দেয়নি পাঁচ বছরের শিশু রাসেলকে। এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনীতি জীবনের মাইল ফলক সহযোগী মহীয়সী সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং পুত্র শেখ কামাল শেখ জামাল ও স্নেহের ছোট ভাই শেখ আবু নাসের শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল জামালের স্ত্রী রোজী জামাল এসবি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান কর্নেল জামিল সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক প্রায় একই সময়ের ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে শেখ ফজলুল হক মনি তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আরজু মনি বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে সেরনিয়াবাত ও তার কন্যা বেবি পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত নাতি সুকান্ত বাবু আব্দুর রবের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাদ এবং এক আত্মীয় বেন্টু খান কিছু বুঝে ওঠার আগে ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতের মৃত্যু বরণ করতে হয়েছিল নির্বিকারে।
তাই মুজিব হারানো ব্যথিত ব্যথায় আজও কাঁদে বাঙালি। মর্মে মর্মে উপলব্ধি কি হারিয়েছি আমরা। আমাদের নেই অভিভাবক নেই পথপ্রদর্শক।
তবু তুমি আছো থাকবে পদ্মা মেঘনা যমুনা যতদিন বহমান,
তোমার গুনের কথা স্মৃতি অম্লান ১৭ কোটি বাঙালি হৃদয়ে চিরজীবী তুমি শেখ মুজিবুর রহমান।