বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
সাবেক সরকারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও স্বজন প্রীতির কারণে এক যুগেও সম্পন্ন হয়নি খুলনা শিপ ইয়ার্ড রোড প্রশস্ত করনের কাজ। খুলনার বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন ও এলাকাবাসীর অভিযোগ লুটতরাজ আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৫ বছরের রাজত্ব কায়েমের আধিপত্যর সময়ে শাসক দলের নেতারা উন্নয়নের নামে লুটের রাজত্ব কায়েম করতে গিয়ে দেশের সকল সেক্টরেই দুর্নীতি করেছে তেমন অভিযোগ করেছে দীর্ঘ এক যুগ ধরে খুলনা শিপইয়ার্ড রোড প্রশস্ত করনের নামে লুটপাটের অভয়ারণ্যেও থমকে যাওয়া ধীর গতিতে চলমান কাজের বিষয়ে যাতে করে থমকে যাওয়া কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হয় এবং সার্বিক বিষয় নিয়ে খুলনা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (পিএসসির) সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন আমরা খুলনাবাসী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় সংগঠনের নেত্রী পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গগণ বলেন বিগত প্রায় এক যুগের মতো সময় নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন কার্যক্রমের ধীরগতিতে চলমান এলাকার বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি নিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। এই রোড দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে, শত শত যানবাহন চলাচল করে, স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচল করতে হয় চরম ঝুঁকির মধ্য দিয়ে। উল্লেখ্য খুলনার অন্যতম শিল্পাঞ্চল নামে খ্যাত ঘন জনবসতি ও ব্যস্ততম সড়কটি ধীর গতিতে কাজ চলায় শিল্প ব্যবসা-বাণিজ্যতে চরম ক্ষতি হচ্ছে এমনকি ছোট ছোট ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে বেকার হয়ে অসহায় জীবন পার করছে এই সমস্যার আরো প্রকট আকার ধারণ করে বর্ষার মৌসুমে, কারন চলমান কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়াখুঁড়িতে গর্তে পরিণত হয়ে জমে থাকা পানি কাদায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে জনজীবন, ফলে জনগণ চরম অসহ্য হয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করতে বাধ্য হয়। এসব অভিযোগ কেডিএর চেয়ারম্যান মনোযোগ সহকারে শুনে তিনি বলেন বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখে এর ব্যাপারে তদারকি করব এবং যত সহজ এবং দ্রুত সময়ের মধ্য কাজটি সম্পন্ন করা যায় তার জন্য যথাসম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তাছাড়া উল্লেখিত এলাকায় সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের রোসানলের ভাষায় একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগের ভাষায় উঠে এসেছে প্রায় এক যুগ অতিবাহিত হতে গেল বিগত সরকারের আমলের তাদেরই দলীয় আমলারা কাজটির দায়িত্বভার গ্রহণ করে তাদেরই নিজস্ব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করতে চেয়ে বিভিন্ন সময় দলীয় নেতাদের পকেট ভারি করতে গিয়ে অর্থ সংকটে কয়েক ধাপে থমকে গিয়েছে কাজটি। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সময় বৃদ্ধি এবং নতুন বাজেটের মাধ্যমে অর্থ আনলেও শুধুই সময় আর অর্থের অপচয় হয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি উপরন্ত এলাকার জনগণ ভোগান্তিতে পড়েছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে বলা যেতে পারে এই এলাকা জুড়ে দেশ স্বাধীনের পর থেকে অসংখ্য স্ মিল ব্যবসায়ীরা স্ মিল খুলে সুবিধা মত ব্যবসা করে আসছিল কিন্তু এক যুগ ধরে এই কাজটির ধীরগতি সরকার দলীয় আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ব্যবসায়ীরা পড়েছে ব্যবসা নিয়ে হুমকির মুখে, ফলে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের এমনকি এই কাজটি চলমান সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ব্যবসা গুটিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।