আবু তালহা রাফি, চবি
আওয়ামীলীগ এবং তার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেব্রুয়ারী এবং মার্চ মাস জুড়ে ঘোষিত কর্মসূচির প্রতিবাদে আজ বুধবার (২৯ই জানুয়ারি) রাত ৯:৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেন চবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এসময় আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধকরণ, জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, দিল্লি না ঢাকা ইত্যাদি নানা স্লোগান দিতে থাকে তারা।
জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সেনানী সাব্বির বলেন, পতিত স্বৈরাচার এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ফেব্রুয়ারী- মার্চকে কেন্দ্র করে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের মতো আমরা শিক্ষার্থীরা আবার একত্রিত হয়ে তাদের নীল নকশা ধ্বংস করে দিবো। তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সকল বাহিনীকে কাজে লাগিয়েও টিকে থাকতে পারে নি, আমরা তাদেরকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত ছিল আওয়ামী ফ্যাসিস্টের শাস্তি নিশ্চিত করা কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে, এখনো সময় আছে, সরকারকে বলবো দ্রুত তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসুন।
চবি শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুরুতেই দেশপ্রেমিক ৫৭জন সেনাবাহিনীর অফিসারকে হত্যা করেছে, এরপর পর্যায়ক্রমে এদেশের শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ, বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ, সমাজসেবকদের হত্যা করে দেশটিকে ভারতের হাতে তুলে দেয়, বাংলাদেশ হয়ে যায় ভারতের ছায়া রাষ্ট্র। ২৪শের জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সার্বভৌমত্বকে আবার ফিরিয়ে এনেছি। বর্তমান সরকার যদি আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা না হলে আমরা ধরে নিবো এরা আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। চবিতেও এখনো প্রকাশ্যে দোসররা ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিন্তু তাদের বিচার করা হচ্ছে না, এ ভিসি বিপ্লব ধারণ করে না। আমরা জানাতে চাই, কোন ফ্যাসিস্টদেরকে পেলে তাদেরকে গণধোলাই দিয়ে জেলে প্রেরণ করা হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম ছাত্রনেতা হাবিব-উল্লাহ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতার জন্য ফ্যাসিস্টদের দোসররা নতুন কর্মসূচি দেওয়ার সাহস দেখিয়েছে, এর সম্পূর্ণ দ্বায়ভার বর্তমান সরকারের, ড. ইউনুস ও আসিফ নজরুলদের জানাতে চাই, আপনারা যদি দোসরদের বিচার করতে ব্যর্থ হোন তাহলে দ্রুত পদত্যাগ করুন। চবি প্রশাসনকেও জানাতে চাই আপনারা দোসরদের ৮৪ জনের ছাত্রত্ব বাতিলের উল্লেখ করে আমাদের হাতে মূলা ধরিয়ে দিয়েছেন, অথচ তাদের সহযোগীতায় স্বৈরাচারের দোসরদের ৫০০ জনের অধিক নিরাপদে পরীক্ষা দিচ্ছে। আপনারা বিচার করতে ব্যর্থ হলে আপনারাও পদত্যাগ করুন। যে বা যারা দোসরদের প্রটেকশন দেওয়ার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধেই আন্দোলন করা হবে।