মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
প্রতিভা কখনো আটকানো যায় না। কোন না কোন ভাবে অভিমুখে চলে আসে।কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তা ব্যক্তিদের নাম শুনলেই চমকে যায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের।
আবার এরমধ্যে অনেক ভালো কর্মকর্তাও রয়েছেন। যাদের কর্মদক্ষতা, মার্জিত ব্যবহার, জনমূখী কর্মকান্ড, পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন, ন্যায় পরায়নতা ও সেবা গ্রহিতাদের কথা ধৈর্য্যরে সাথে শ্রবণ করে সমাধান বের করেন।
যারা বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত রেখে চলেছেন প্রতিটি মুহুর্ত। এটাই একজন কর্মদক্ষ ন্যায় পরায়ন দায়িত্বশীল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারেন দক্ষতার মাধ্যমে একটি উপজেলার আমূল পরিবর্তন ঘটাতে। এমনই একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ।
৫ই আগস্টে পট পরিবর্তনের পর বর্তমানে একাই গুরুত্বপূর্ণ চারটি দপ্তরের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি এ উপজেলায় যোগদানের পর তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। সব মিলিয়ে নাগরিক সেবায় কাজের চাপ বাড়লেও কমেনি সেবার মান। এদিকে ইউএনও উত্তম কুমার দাশ উপজেলার যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় রয়েছেন সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন।
তাছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগও দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তাছাড়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা, সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান-অনুদান সরেজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবং তিনি সর্বদা ছুটে বেড়ান উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন আর পৌরসভায়। এছাড়াও তিনি ডাসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
পট পরিবর্তনের নেই স্থানীয় এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পৌর-মেয়র।
পাশাপাশি ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র অতিরিক্ত দায়িত্ব।
উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্যবর্ধন, আগত সেবা প্রত্যাশীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিতকরণ, উপজেলা পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে তদারকি, উপজেলা পরিষদের পুকুরের চারপাশে চলার পথ ও দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন কাজও করেছেন তিনি। শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করেন। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের গুণগত এবং লেখাপড়ার জন্য মানসম্মত বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলার নানা কার্যক্রম করেছেন ইতোমধ্যে। কখনো কলেজ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়ে ইউএনওর ঝটিকা অভিযানের ফলে নিয়ম মাফিক চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম। তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের ‘আইডল’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ইতোমধ্যেই। অপরদিকে জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সাধারন জনগন,জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মাঠ প্রশাসনে অস্থিরতা দেখা দিলেও কালকিনি উপজেলায় ছিলো ভীন্নরুপ। উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে উপজেলার সার্বিক নিরাপত্তা, নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে বলিষ্ট ভূমিকা রাখছেন উত্তম কুমার দাশ। বিশেষ করে সরকার পতনের সুযোগে একটি শ্রেনী দেশের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছিলো। সেই প্রেক্ষাপটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ন্যায্যমূল্যের কৃষি বাজার স্থাপন করেন। যা উপজেলার সর্বত্র সুনাম অর্জন করে। এছাড়াও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকশিত করার লক্ষ্যে উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং সেন্টার, ক্রিড়া সংস্থার কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। এবং শিল্পকলা একাডেমির আধুনিকায়ন ও মুক্তমঞ্চের কাজ চলমান রয়েছে।
কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বর বলেন, ইউএনওর কাছে যে কোন লোক গেলে তিনি তাকে সন্মান করেন। এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ করে দেন। আমি এক কথায় বলবো এরকম সৎ ও যোগ্য ইউএনও আমি দেখিনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক বেপারী বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সবাই সহযোগীতা করলে তিনি কালকিনিকে একটি আধুনিক উপজেলায় রুপান্তরিত করতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। সে হিসেবে যেখানেই চাকুরী করেছি সব সময় নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাগরিকদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যতদিন কালকিনি উপজেলায় আছি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাব। সর্বোপরি দায়িত্ব পালনে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।