সুলাইমান পোদ্দার তজুমদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধি
মেঘনা কবলিত এলাকা ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলা নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন ২ এর অধীনে বেড়িবাঁধ,ব্লক তৈরি ও জিও ব্যাগ ভরাট কাজের ব্যাপক অনিয়মের ও দূর্নীতির অভিযোগে তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানউপদেষ্টা ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসীবাদী আমলের অপ্রয়োজনিয় বাজেটের কাজগুলো এখনো আগের মতোই দূর্নীতি চলছে। যেখানে সরকারি কোন নিয়ম কানুনই মানা হচ্ছে না। তিনি জানান সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি সোনাপুর,চাঁদপুর ও চাচঁড়া ইউনিয়নের জিও ব্যাগ ভরাট,ব্লক ও বেড়ীবাঁধ নির্মাণ কাজের স্থান পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখেন জিও ব্যাগ দেওয়ার স্থান থেকে ৪/৫ শত ফুট দূরে মেঘনা থেকে নিম্নমানের বালি উত্তলন করে সেই বালি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে জিও ব্যাগ। একটি ব্যাগে যে পরিমান বালি দেওয়ার কথা সে পরিমান বালি দেওয়া হচ্ছে না। এতে বর্ষার পানির স্রোতে বস্তা নদীর মাঝে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। আর বস্তা গননা করার যে নাম্বার থাকার কথা সে নাম্বার লিখা থাকে না। ব্লক তৈরির কাজ দেখতে গিয়ে তিনি দেখেন নিম্নমানের পাথর ও বালি দিয়ে ব্লক তৈরি করা হচ্ছে।ব্লক তৈরি করতে ৭ তাগারি পাথর ৫ তাগারি বালি ১ বস্থা সিমেন্ট দেওয়া হয়। এতে ব্লক শক্ত ও মজবুত হওয়া তো দূরের কথা টেকসই হচ্ছে না ।তিনি গত বিএনপি সরকার আমলের উদাহরণ টেনে বলেন,জিও ব্যাগ ও ব্লকের মান যাতে ঠিক থাকে সে জন্যে ততকালীন পানিসম্পদ মন্ত্রী জনাব মেজর(অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম সেনাবাহিনী কে দিয়ে এই কার্জক্রম পরিচালনা করেছেন। তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পূর্ব পাসে ৩ বছর পূর্বে সুজ গেইট নিম্মান করা হলেও সেটির ২৫/৩০ ফুট দূরে অপ্রয়োজনীয় আবার একটি সুজগেট তৈরি করার প্রতিবাদ জানান এবং বেড়ীবাধঁ তৈরি করতে গিয়ে মানুষের খতিগ্রস্থ জমির মুল্য দেওয়া হচ্ছেনা বলেও অভিযোগ তুলেন।হাজী মোস্তাফিজ শিক্ষা উপদেষ্ট ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,তজুমদ্দিনে ফজিলাতুন্নেছা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও চাঁদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি গেট ২বছর আগে নির্মাণ করা হলেও সেই গেট গুলো ভেঙ্গে নতুন করে ব্যয়বহুল দুটি গেট নির্মান করতে হলো কেন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার আহবান জানান। ফ্যাসীষ্ট সরকারের গ্রহণ করা প্রকল্পের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গুলো বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং তজুমদ্দিনসহ সারাদেশের লোপাট ও দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই সমস্ত লোপাট,অনিয়ম,দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী করেন। সরকারি আইন কানুন মেনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিও ব্যাগ,ব্লক ও বেড়ীবাঁধ এর উন্নয়ন মুলক কাজগুলো মান সম্মত ভাবে করার জন্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের প্রতি আহবান জানান