হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুরে সুরমা গ্রামের আধ্যাত্মিক পুরুষ
হযরত শাহ চান মিয়া চৌধুরী পবিত্র ওরসের পরিচালনা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুপক্ষকে নিয়ে প্রশাসন বৈঠক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় মাজারের ওরস উদযাপনকে সামনে রেখে বুধবার সকালে মাজারে সমবেত হন ভক্ত বৃন্দরা। কার নেতৃত্বে মাজারের ওরস উদযাপিত হবে এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী ও অপরপক্ষ সাইমন চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে এ নিয়ে তর্কবিতর্ক দেখা দেয়।এক পর্যায়ে এ নিয়ে দুপক্ষ হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।ইটপাটকেল উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এর মধ্যে দুজন এর অবস্থা গুরুতর।
আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ মাজারে যাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।উল্লেখ্য গত তিন বছর ধরে মাজার পরিচালনা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।হযরত শাহ চাঁন সাহেব একজন আধ্যাত্মিক পীর ছিলেন।সারাদেশে তাঁর অনেক ভক্ত অনুরাগী মুরিদান রয়েছে।প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের প্রথম রোববার বার্ষিক ওরস অনুষ্টিত হয়।এতে সারাদেশ থেকে লাখো মুসুল্লির সমাবেশ ঘটে। সারারাত ব্যাপি মাজারে ওয়াজ মাহফিল, জিকির ও দোয়া অনুষ্টিত হয়।গরুছাগল জবাই করে শিন্নি করা হয়।কিন্তু এখন পরিচালনা নিয়ে দেখা দিযেছে সমস্যা।ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী বলেন,হযরত শাহ চাঁন মিয়াচৌধুরী পীর সাহেবের নিকট আত্বীয় ও ভক্তদের নিয়ে সারাবছর ওরস উদযাপিত হয়ে আসছে।কিন্তু গত ৩/৪ বছর একটি মহল বিশৃঙ্খলা করছে ।মাধবপুরথানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বুধবার বিকেলে বিষয়টি সূরাহার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ বিন কাসেমের কার্যালয়ে দুপক্ষ কে নিয়ে একটি বৈঠক বসেছে। গত বছর ওরস নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে শান্তিপূর্ণভাবে পবিত্র ওরস সম্পন্ন হয় । ভক্তদের মধ্যেও এ নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে।