রামগড় প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ি জেলাধীন রামগড় উপজেলার পৌরসভাস্থ তৈচালা পাড়ায় গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।
জানান যায় -১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রামগড় থানাধীন পৌরসভার ০৬নং ওয়ার্ড তৈচালা পাড়ায় গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। ঝগড়া বিষয়ে সামাজিক গন্যমান্যদের কাছে অভিযোগ প্রেরণ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের সামাজিক বৈঠক বসে।সামাজিক বৈঠকে উভয়ই বক্তব্যে এলাকার গন্যমান্যদের উপস্থিতে মীমাংসা হয়।কিছুক্ষণ পরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্য বির্তকিত ভাবে কথা তর্কাতর্কি চলতে থাকে। এইসব তর্কাতর্কি মাধ্যমে হাতাহাতি এবং এক প্রকার সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে মধ্য কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান।
সেই অতর্কিত হামলায় সালিশ দেখতে আসা মোঃ আবুল কালাম (৫০) সহ আরো আটজন গুরুতারোপ ভাবে আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের চিকিৎসার জন্যে দ্রুত রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করানু হয়।পরে কর্মরত চিকিৎসক আহতদের অবস্থা অবনতি দেখে আবুল কালাম সহ ৩ জন কে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ ও হসপিটালে রেফার করেন।পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হসপিটালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল কালাম(৫০)১৮এপ্রিল শুক্রবার ভোরের দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হসপিটালে মারা যান।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আবুল কালামের লাশ চট্টগ্রাম থেকে থানা এনে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া
পুলিশ সুত্রে আরো জানা যায়- রামগড় পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড তৈচালা পাড়া নামক স্থানে মর্তুজা আলীর জমিতে একই এলাকার সাদ্দাম নামে আরেক ব্যক্তির গরু ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে গত রাত আটটার দিকে সামাজিক বিচার বসে। বিচারে বিষয়টি মীমাংসাও হয়। কিন্তু বিচার শেষে রাত ৯টার দিকে ২ পক্ষের লোকজনের মধ্যে বির্তক সৃষ্টি হয় এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয় যা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনায় আহত অন্যান্য ব্যাক্তিরা সবাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।