টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পুর্বে এক তৃতীয়াংশ জুড়ে রয়েছে বিশাল পাহাড়ি অঞ্চল। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ০৮ নম্বর দেওপাড়া ইউনিয়নের শিবেরপাড়া-বারইপাড়া এলাকায় বিলের ধানের ফসল নিচ্ছে কৃষক ঘোড়ার গাড়ির দিয়ে। এলাকায় শ্রমিক সংকট থাকার কারনে এই ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে ধান বাহন করছে প্রায় কৃষকরা। শুধু ধান বাহনের ক্ষেত্রে নয় পাহাড়ি এলাকা গুলোতে পণ্যও পরিবহন করছে তারা।
এবার বি-২৮ ধানের সাথে বি-২৯ সহ হাইব্রিড ধানের ভালো ফলন হয়েছে। সোনার ফসল ঘরে উঠাতে পেরে কৃষক আনন্দিত। উৎসব মুখর পরিবেশে কৃষক ব্যস্ত ধান উঠানোর কাজে। তবে দীর্ঘদিন গৌপোচা বিলের খাল খনন না হওয়ায় কৃষক অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় কৃষক আসাদুজ্জামান জানান, আমরা এই ধানের জমির উপর নির্ভরশীল। বর্ষায় পানি খাল দিয়ে বের না হওয়ায় নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আগাম বৃষ্টি হলেও ধান তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। অতীতে আমরা দেখেছি গরুর গাড়ী , মহিষের গাড়ী দিয়ে এসব পরিবহন করতো। কিন্তু বর্তমানে এই ঘোড়ার গাড়ী কৃষি পণ্যসহ সকল ধরনের মালামাল বাহন করা হয় পাহাড়ি এলাকায়। তাই গরুর গাড়ী ও মহিষের গাড়ী কালের বিবর্তনে প্রায় বিলুপ্তির পথে।
স্থানীয় ঘোড়ার গাড়ি চালক মোঃ সবুর মিয়া ও আক্তার আলী জানান, পাহাড়ি এলাকা ও বিলাঞ্চলের মানুষের মালামাল পরিবহনসহ ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা নেওয়ার জন্য অন্যতম মাধ্যম ঘোড়ার গাড়ি। বৃষ্টির কারনে বিলাঞ্চলের আবাদী জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিলে শ্রমিক সংকটও দেখা দেয়। এই সময় ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে ধান বাহন করা হয়। তাই ঘোড়ার গাড়ীর চাহিদাও আছে। এ ঘোড়ার গাড়িতে ৩০০ থেকে ৪০০ ধানের আটি পরিবহন করা যায়। সারাদিনে আয় হয় ১৫০০-২০০০ টাকা। তা দিয়ে সংসারের খরচ বহন করেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান জানান, ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে ধান বহন করা এটা পুরানো ঐতিহ্য বহন করে। এ ঐতিহ্য রক্ষায় ঘোড়ার গাড়ি চালকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।