ঢাকাWednesday , 7 May 2025
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চিকিৎসক সংকটে তজুমদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, সরকারি সেবা বঞ্চিত দেড় লক্ষ মানুষ।

Link Copied!

সুলাইমান পোদ্দার তজুমদ্দিন প্রতিনিধি।

৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এখন ডাক্তার শূন্য।

উপজেলার এক মাত্র এই সরকারি হাসপাতালটিতে মোট ১৫ টি মঞ্জুরীকৃত পদের বিপরীতে বর্তমানে দায়িত্বরত আছেন মাত্র ২ জন। এছাড়া ৫০শয্যার হাসপাতালটিতে গুরুত্বপূর্ণ আরো ১৩ টি পদ শূন্য রয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিভিন্ন করনে এক এক করে উপজেলার এই স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সটি থেকে ডাক্তার বদলী হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে এ শূন্যতার।এখানে কনসালটেন্ট ও মেডিকেল অফিসারের ১৫টি পদে কর্মরত রয়েছেন মাত্র দুজন, এ ছাড়া নার্স ও মিডওয়াইফ ৩১টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ১২ জন, প্যাথলজিস্ট পদে দুটি পদই শূন্য রয়েছে এবং তৃতীয় শ্রেণির ৬৬টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ২৯টি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির একদিকে যেমন জনবল সংকট অন্যদিকে রয়েছে সরঞ্জামাদি ও টেকনিশিয়ানের সংকট। লোকবলের অভাবে অপারেশন থিয়েটার, এক্সরে, ইসিজি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনগুলো পড়ে আছে অচলাবস্থায়। ফলে চর দূর্গম এলাকার লোকজন সহ পুরো তজুমদ্দিনের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে স্বল্প খরচে সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে।

রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ডাক্তার শূন্য তজুমদ্দিন উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সেবার বাস্তব দৃশ্য। পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে মোট ৫০ শয্যার মধ্যে ২৮ জন রোগী ভর্তি আছে।এখানে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে অনেক রোগীও চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ভর্তি থাকা এসব রোগীদের জরুরী প্রয়োজনেও মিলছে না কোন ডাক্তারের সেবা।

ডায়রিয়া ভর্তি থাকা নাইম জানান গত দুই দিন ভর্তি থাকার পর একজন ডাক্তার এসে তাকে একবার দেখে যান, আর হাসপাতালে কোন ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে না সব বাহির থেকে নিতে হয়।

শিশু তাহরিমার বাবা জানান তিনি দুই দিন যাবৎ তার মেয়েকে নিয়ে ভর্তি থাকলেও এখনো রোগের কোন পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন না, শিশু চিকিৎসক না থাকায় তারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর তারা হাসপাতালে সরকারি কোন ঔষধ পাচ্ছেন না। জরুরী বিভাগে সাধারণ ছেড়া কাটা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন সহকারী চিকিৎসক লিপন মন্ডন।

মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. রাহাত হোসেন জানান তিনি সদরে হাসপাতালের মিটিংয়ে অংশ গ্রহন করে জেলা সিভিল সার্জন ও উর্ধতন কর্মকতা দের এসব বারবার অবগতি করলে তারা এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার, আউটডোর, ইনডোর সবই সামলাচ্ছেন এই দুই কর্মকর্তা ।

৩১ শয্যার তজুমদ্দিন উপজেলা কমপ্লেক্সটিকে ২০২২ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সরকারি আসবাবপত্রের অভাবে অনেক সেবাই বন্ধ।বাস্তবে ল্যাবে মেশিন থাকলেও প্যাথলজিস্ট এর অভাবে তা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সেকেলে সেই সেবাটুকুও পাচ্ছেনা এ এলাকার দরিদ্র, মধ্যবিত্ত্ব ও দায়গ্রস্থ মানুষেরা।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনবল সংকটের কথা একাধিকবার জানানোর পর অতি শীঘ্রই এই সমস্যা সমাধানের আস্বস্ত করেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST