জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
সমরে আমরা শান্তিতে আমরা সর্বত্র আমরা দেশের তরে। সেনাবাহিনীর মুলনীতিকে সামনে রেখে।
সেনাবাহিনীর নড়াইল ক্যাম্পের পেশাদারিত্ব ও দুর্ধর্ষ অভিযানিক দক্ষতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো। ৯ জুন দুপুরে গোয়েন্দা নজরদারির পর, নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম, মাগুরার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সরদার কুখ্যাত ডাকাত মনির গুন্ডা সহ পাঁচ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করে। এই ডাকাত দল দীর্ঘদিন মাগুরা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছিল।
বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নড়াইল ক্যাম্প জানতে পারে যে, কুখ্যাত ডাকাত মনির গুণ্ডার নেতৃত্বাধীন চক্রের একাধিক সদস্য বর্তমানে নড়াইলে অবস্থান করছে এবং সদর হাসপাতালের আশপাশে সক্রিয় হয়ে উঠছে।
৯ জুন দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত অভিযানটি পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নড়াইল ক্যাম্পের পেট্রল অধিনায়ক দ্রুত সিদ্ধান্ত ও সাহসিকতার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় স্থানীয় পুলিশ সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে।
একই সময়ে গোপন সূত্রে জানাগেছে, এই গ্যাংয়ের আরও এক সদস্য নড়াইল সদর হাসপাতালে ভুয়া পরিচয়ে ভর্তি রয়েছে, যার বিরুদ্ধেও ডাকাতি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্য হলেন, মনিরুল ইসলাম (ওরফে মনির গুণ্ডা), পিতা: নুরুল ইসলাম মাস্টার, বিল্লাল হোসেন, পিতা: আবদুর রশিদ, টোকু ভূঁইয়া, পিতা: নুরুল মোল্লা, রিপন মাহমুদ, পিতা: খায়েরুল ইসলাম,শাহারিয়া, পিতা: কিবরিয়াজ মোল্লা প্রত্যেকের বাড়ী মাগুরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
অভিযান পরিচালনার সময় তাদের নিকট থেকে ১টি সেভেন-গিয়ার ধারালো দেশীয় ছুরি উদ্ধার করা হয়। যা ডাকাতির উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতো।
গ্রেফতারকৃত ৫ ডাকাতকে তাৎক্ষণিকভাবে নড়াইল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।নড়াইল সদর হাসপাতালে ভুয়া পরিচয়ে ভর্তি থাকা সন্দেহভাজনের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নড়াইল ক্যাম্প নিয়মিত টহলের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।