বিপ্লব সাহা,খুলনা ব্যুরো :
সমাজের সকল ধরনের দুষ্কৃতকারী চাঁদাবাজ ভূমি দস্যু মাদক কারবারি কিশোর মাস্তান চোরচক্র সিন্ডিকেট সহ সকল ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে ও কঠোরতম অভিযান চালিয়ে আটক করে আইনের আওতায় আনার জন্য বদ্ধপরিকর ও নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি আমরা পুলিশ বাহিনী।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক সাংবাদিক সম্মেলনে গত মাস থেকে আজকের দিন পর্যন্ত মোট ১১ টি মোটরসাইকেল খুলনা জেলা সহ গোপালগঞ্জ মুকসেদপুর লিটন শেখের বাড়ি পর্যন্ত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের অন্যতম সদস্য সবুজ শেখ ও সুমন মিস্ত্রি কে আটক করে তাদের নিকট থেকে গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছি।
এ সময় তিনি আরো বলেন নগরীর জাহিদুর রহমান সড়কের রবীন্দ্রনাথ এর বাড়ীর সামনে থেকে গত ৫ আগষ্ট দিবাগত রাত আনুমানিক ৯ টা ৩০ মিনিট থেকে ৯ টা ৪০ মিনিট এর মধ্যে একটি এপাচি-১৮০ সিসি আর টি আর মোটর বাইক চুরি হয়। পরে ভুক্তভোগী বিভিন্ন কৌশলে মোটর সাইকেলটি উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায় খুলনা থানায় মোটরসাইকেল হারিয়ে যাওয়া বিষয়ে মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা সূত্রটি গুরুত্বতার সাথে আমলে নিয়ে বিষয়টি আমাকে সহ প্রশাসন মহলের কর্মকর্তাদের নিকট অবগত করলে আমি খুলনার কয়েকটি থানার অফিসার ইনচার্জ ও বেশ কিছু এসআই দের সাথে নিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা নগরী থেকে প্রথমে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য সবুজ সেখ ও পরে সুমন মিস্ত্রি কে আটক করলে তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যায় তারা শুধু এই দুটো মোটরসাইকেল নয় এর আগে আরো ছয়টি মোটরসাইকেল চুরি করেছে সেগুলি খুলনা ছেড়ে গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর লিটন শেখের বাড়ীতে রাখার সত্যতা স্বীকার করেলে আমরা গোপালগঞ্জ মোকসেদপুর লিটন শেখের বাড়ি অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত গাড়ি গুলো উদ্ধার করে খুলনায় আনতে সক্ষম হয়েছি।
তাছাড়া আমরা আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখে ১১ টি বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেল ৩ টি ইজিবাইক ও ১ টি ট্রাক উদ্ধার করে এপর্যন্ত মোট ১৫-টি গাড়ি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি তিনি মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন আপনাদের সহযোগিতা থাকলে আমরা খুব সহজেই সমাজের এই দুষ্কৃতকারী মাদক ব্যবসায়ীদের মূল উৎপাটন করতে সক্ষম হবো।
মাদক আমাদের দেশের উঠতি বয়সে যুবকদের সহ সমাজকে ধ্বংসের অবক্ষয়ে নিমজ্জিত করছে।
সেহেতু মাদক কারবারীদের কোন ছাড় নাই এক কথায় খুলনা জেলা তথা সমগ্র বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত জিরো টলারেন্সে গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় তিনি সমাজের কিশোর মাস্তানদের কথা উল্লেখ করে বলেন কিশোর মাস্তানরা একদিনেই মাস্তান তৈরি হয়নি।
এরা আমাদেরই সন্তান আমরা যারা এদের অভিভাবক তাদের পূর্বে থেকেই এদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে সর্বদা নজরদারি করে এরা কাদের সঙ্গে মিশছে কোন শ্রেণীর ছেলেপেলে এদের বন্ধু বান্ধব সেগুলো খোঁজখবর নিলে হয়তু বা এরা এ ধরনের পথে এসে অন্ধকার জীবনে হাবুডুবু খেত না।
আপনারা যারা অভিভাবক আপনারা দৃষ্টি সজাগ রাখুন আমরা আপনাদের পাশে আছি সমাজের সকল দুষ্কৃতকারীদের উৎখাত করবো মাদক নির্মূল করবো এবং কিশোর মাস্তান থেকে শুরুকরে চোর গুন্ডা ভূমি দস্যু চাঁদাবাজ থেকে খুলনা শহরকে অবমুক্ত করে একটি সুন্দর মাদক মুক্ত শহর উপহার দেব ইনশাল্লাহ।