মোঃ মশিউর রহমান সুমন। মেহেন্দিগঞ্জ,বরিশাল, প্রতিনিধি।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের মল্লিকপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে বালু বোঝাই ৭টি বাল্কহেড নদীর তীব্র টেউয়ের তোড়ে ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া বাল্কহেড এর ১৩জন স্টাফকে উদ্ধার করেন নৌ- পুলিশের সহায়তায় স্থানীয় জেলেরা। উদ্ধারকৃতরা হলেন মোঃ সোহেল, আবাদুস সালাম, মোঃ অলি উদ্দিন, মোঃ বাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, মোঃ শহীদুল্লাহ, নজির হোসেন, মোঃ বাহাদুর, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল্লাহ, আব্দুল্লাহ মিয়া, মোঃ শহীদুল, মোঃ নাহিদ ইসলাম।
রনজিতপুর ১ বাল্কহেড এর মাস্টার বাহাদুর বলেন, বালু বোঝাই করে সিলেট থেকে বাগেরহাটের উদ্দ্যেশে রওনা হয়েছিলেন তারা। মাঝপথে মেঘনা নদীতে ঝড় এবং প্রবল স্রোতের মধ্যে পড়ে তাদের জাহাজ ডুবতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের জাহাজটি একটি চরের মধ্যে নিয়ে নোঙর করতে পারলেও তাদের চোখের সামনে ৭টি জাহাজ ডুবে যায়।
নাহিদ হাওলাদার বলেন, তাদের রনজিত ১ বাল্কহেড সিলেট থেকে বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে মেহেন্দিগঞ্জের মেঘনায় এসে আজ ঝড়ের কবলে পড়েন। তাদের জাহাজটি একটি চরের মধ্যে নিতে পারলেও অপর ৭টি বাল্কহেড চোখের সামনেই ডুবে যায়। ওইসব বাল্কহেড এর স্টাফরা নদীতে ভাসতে দেখেন তিনি।
মেহেন্দিগঞ্জের কালীগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোঃ এনামুল হক জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়েছেন ৫টি বাল্কহেড মেঘনায় ডুবে গেছে। ঘটনার খবর পেয়ে তারা দুত ঘটনাস্থল গিয়ে নদীতে ভাসতে থাকা ১৩জনকে উদ্ধার করেন। কেউ নিখোঁজ আছে কিনা জানেন না। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড এর স্থান চিহ্নিত করা কিংবা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বালু বোঝাই বাল্কহেডগুলো সিলেট থেকে বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন।
মালিক কর্তৃপক্ষ বাল্কহেডটি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। মেহেন্দিগঞ্জ নৌ পুলিশ ইউনিট এর টহল টীম এর তৎপরতা অব্যাহত আছে। তবে বাল্কহেডগুলোর সন্ধান মিলেনি।