মুন্না ইসলাম আগুন স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী:
রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পুঠিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জনাব হুমায়ূন কবির কে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তিনি ও পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী।
জানা যায় রাজশাহী জেলার বানেশ্বর বাজারে একটি গর্ভবতী অসুস্থ গরু জবাই করা হয় । গরুর গর্ভে থাকা বাছুর ( বাচ্চা) পাওয়া যায়। কসাই রা গোপনে তা সরিয়ে ফেলে পরে জনগণ বুঝতে পরে প্রতিবাদ করতে গেলে পালিয়ে যায় কসাই রা । পরবর্তী সময়ে তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে উপস্থিত হন কিছু সাংবাদিকবৃন্দ। এ সময় সেখানকার বিস্তারিত তথ্য জানার সময় সেখানে উপস্থিত পুঠিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবিরকে প্রশ্ন করলে তিনি তাদের অনিয়মের কথা তুলে ধরেন এ সময় সেখানে হার্ট ইজারাদার ও মালিক সমিতি তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ চালায়। এ ঘটনায় পরদিন ভুক্তভোগী উন্নয়ন কবীর একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গতকালকের একটি অনাকাঙ্খিত বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদের সামনে আমার আসা। ১০/০৯/২৫ই গতকালের যে বিষয় ছিলো তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি, গতকাল সকাল বেলা অনলাইন গণমাধ্যমে বানেশ্বর মাংস হাটার জবাই কৃত গরুর পেটে বাচ্চা বের হয়েছে এ বিষয় বাজারে একজন কে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হয়ে আমিও ফেসবুকে ও-ই বিষয় নিয়ে পোস্ট করি। বেলা ১০.৪০ এর সময় বানেশ্বর বাজার গরু হাটা উপস্থিত হই। এক সময় দেখি বানেশ্বর বনিক সমিতির অফিসের এর নিচে অনেক লোকজনের জমায়েত। আমার সঙ্গে আরো বেশ কয়েকজন ছিলো সবাইকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হই। সেখানে এসে দেখি প্রানি সম্পদ অফিসার বক্তব্য দিচ্ছেন তার পরে বনিক সমিতির আহ্বায়ক বক্তব্য দিলে আমি সেখানে বলি যতক্ষণ পর্যন্ত এটার সুষ্ঠ সমাধান না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত যে বাক্তি এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তার গরু জবাই/মাংস বিক্রি করা যাবে না। আহ্বায়ক এর বক্তব্য শেষে সাংবাদিকেরা আমাকে কিছু বলার জন্য বলতে বলায় আমি যা বলেছি তা হলো আজকের এই অনাকাংঙ্খিত বিষয় নিয়ে যা আলোচনা হচ্ছে এটার জন্য ইজারাদার ও বনিক সমিতির কিছু অবহেলা রয়েছে তার করন হলো গতমাসের ২৫ তারিখে একই ভাবে মাংস হাটায় ভাইরাস সংক্রমিত অসুস্থ গরু জবাই করার সময় ধরা পড়ে এর জন্য তাকে প্রশাসনিক ভাবে ৫০০০৬ পাঁচ হাজার টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করেন। এতো সীমিত দন্ড প্রদান করাই সে বিষয়টা তাচ্ছিল্যের সাথে গ্রহন করে এবং ভবিষ্যতে আরো সাহসী হয়। ওটা যদি কঠোর ভাবে পদক্ষেপ নিতেন তাহলে আজকে এমন কাজ করার সাহস পেতো না। বাজার ইজারাদার ও বনিক সমিতির সম্মিলিত নেতৃত্ব না দেবার জন্য বাজারে অনেক ঘটনা ঘটছে। নকল সিল দিয়ে তারা গরু জবাই করে এবং মাংস বিক্রি করে এর কোন প্রতিকার নেই। মাংস হাটার এই ১৫ বছরের সিন্ডিকেট আজো ভাঙতে পারেন নি এটা সবার ব্যার্থতা বলে মনে করি। প্রশাসনের তেমন কোন জোরালো ভুমিকা না থাকায় বানেশ্বর বাজার গুপিং করে আওয়ামী লীগদের লোকজন নিয়ে নিজেদের দল ভারী করে বেশি দামে হাট নিয়ে আসছেন এতে খাজনা বেশি নেবার অভিযোগ আছে খাসি হাটা হরু হাটা থেকে বেশি খাজনা নেবার অভিযোগ আছে এই কথা বলতে অনেক জন আমাকে বাঁধা দেই এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে, এক পর্যায়ে কয়েক জন আমাকে ধাক্কা মারে এতে বিশৃংঙ্খলার সৃষ্টি হয়, এর পরে পুলিশ সদস্য আমাকে হাত ধরে ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসে। ও-ই পুলিশ সদস্য আমাকে একটি বাইকে উঠিয়ে দিয়ে বলেন ওনাকে নিয়ে যান। তারপর আমি ওখান থেকে চলে আসি। দেখেন সত্যি কথা বলার জন্য আমাকে ঘাড়ে হাত দিয়ে ধাক্কা দেয়। আমি লাঞ্চিত হয়েছি এটা ছাত্রদলকে লাঞ্চিত করা হয়েছে খাজনা বেশি নেওয়ার কথা বলাটা হলো আমার অপরাধ। দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সঙ্গে লেজুড়ভিত্তিক থেকে আজকে বানেশ্বর বাজার এ আওয়ামীলীগকে আবার বাজারে এক সঙ্গে নিয়ে চলছে। বর্তমান যারা জড়িত আছে তারা শুধু আওয়ামীগের আগে যারা আওয়ামীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন আজ তারাই আছে আমি এর ধিক্কার জানাই। আমাকে লাঞ্চিত যে বা যারা করছে তাদের আমি ধিক্কার জানায়। ইউনিয়ন বিএনপি, উপজেলা বিএনপি, জেলা বিএনপি, কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই বানেশ্বর এর শেষ কোথায়। এর একটা সুষ্ঠ সমাধান চাই। আজকে আমি লাঞ্চিত হয়েছি কালকে আরেকজন হবে না এর কোন নিশ্চয়তা নেই। বানেশ্বর আওয়ামী লীগের দোসররা ঈগল মার্কা বিএনপি গুলো বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলকে নষ্ট করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এর একটি বিহিত চাই।