মনিরুল ইসলাম মাহিম, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের একাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের একজন নিয়মিত ছাত্রী বর্ষা দেওয়ান গত ১৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ থেকে জটিল রোগে ভুগছিলেন। ১৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ, এইচডিএমসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, রিজিয়ন কমান্ডার, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থী বর্ষা দেওয়ান এর উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে নগদ ১,৫০,০০০.০০ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) টাকা প্রদান করা হয়।
ছাত্রী বর্ষা দেওয়ান গত ১৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে শারীরিক কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন এবং শারীরিক অসুস্থতার জন্য ঔষধ দেন। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানীয় পার্ক সাইড হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার ইকো টেস্ট রিপোর্টের মাধ্যমে এসএলই (SLE) রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অবগত করেন এবং জরুরি ভিত্তিতে চট্টগ্রামে চিকিৎসা প্রদানের জন্য পরামর্শ দেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাঃ এ. বি. কে বশীর উদ্দীন (সায়েম) এর তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ২৭ অক্টোবর ২০২৪ হতে ০৯ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কিছুদিন পরে পুনরায় বর্ষা দেওয়ান অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারের পরামর্শে আবারও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করানো হয় এবং ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ হতে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নেফ্রোলজী বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিল। এছাড়াও একই বিভাগে ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ হতে ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিল। বর্ষা দেওয়ানকে ডাক্তারের পরামর্শে ঘাড়ের মাংস টেস্ট, কিডনি বায়োপ্পী, বিভিন্ন ব্লাড টেস্ট, এএনএ টেস্ট, এনটিডিএস ডিএনএ টেস্ট করার মাধ্যমে মারাত্মক এসএলই (SLE) রোগ শনাক্ত করা হয়। বর্ষা দেওয়ান এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অপারেশন, ঔষধ, পরিবহন ও অন্যান্য খরচ বাবদ ইতোমধ্যে পরিবার থেকে প্রায় ৪,০০,০০০.০০ (চার লক্ষ) টাকা খরচ করা হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি ও উন্নত চিকিৎসা এবং অন্যান্য খরচের জন্য আনুমানিক ৩,০০,০০০.০০ (তিন লক্ষ) টাকা প্রয়োজন থাকায় রিজিয়ন সদর দপ্তরে সহায়তার জন্য আবেদন করেন। উপরোক্ত বিষয় বিবেচনা পূর্বক আজ খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থী বর্ষা দেওয়ান এর উন্নত চিকিৎসার জন্য এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন জোন কমান্ডার, খাগড়াছড়ি জোন, প্রিন্সিপাল, কেসিপিএসসি এবং খাগড়াছড়ি রিজিয়নের সকল স্টাফ অফিসারবৃন্দ।