যোগেশ ত্রিপুরা (রামগড় প্রতিনিধি)
সনাতনী ধর্মালম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা।প্রতি বছরের মতো এবারও সারাদেশে অনুষ্ঠিত হয় শারদীয় দুর্গা উৎসব।নানা রঙের সাজানো হয় পূজা মণ্ডপ,আর সাজানো হয় অসুর বধ দেবী দূর্গাকে।সনাতনী ধর্মালম্বীরা নানা সাজে সাজিয়ে মায়ের আরাধনায় আর্শীবাদ নিতে ভীড় জমায় মণ্ডপে।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মন্দিরে গুলোতে সনাতনী ধর্মালম্বীদের সমাগম ও আলোক সজ্জিত ঢাক ঢোলে আরতিতে মুখরিত থাকে মন্দির প্রাঙ্গণ।
২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া মাধ্যমে দুর্গাপুজার আগাম বার্তা।তার পরের দিন থেকেই আশ্বিন শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি অর্থাৎ দুর্গাপুজো শুরু হয়। তবে দেবীর আরাধনার নিয়মনীতি পালন করা হয় ষষ্ঠী তিথি থেকে।ওদিন রামগড়
শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বরী কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে গীতা পাঠ, চিত্রাঙ্কন,আরতি অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্জিকা অনুযায়ী এবারে দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট হয় সকাল ১০টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠী তিথিতে দুর্গার ষষ্ঠ্যাদিকল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা হয়। সন্ধ্যাবেলা দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস পালন করা হয়।মহাসপ্তমী ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার। বেলা ১২টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত থাকবে সপ্তমী ।এদিন নবপত্রিকা স্নান, স্থাপন, সপ্তম্যাদিকল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পুজো করা হয়।সপ্তমীতে রামগড় শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বরী কালী মন্দিরে দেবী দুর্গার আরাধনা, চিত্রাঙ্কন, গীতা পাঠ ও সন্ধ্যা আরতি এবং সার্বজনীন শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গোৎসব ২০২৫ উপলক্ষে – মাতৃ সম্মেলন,বস্ত্র,শিক্ষা উপকরণ ও গীতাদান এবং মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।আয়োজনে -সনাতন ছাত্র -যুব পরিষদ।
মহাষ্টমী ৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার। দুর্গাষ্টমী তিথি থাকবে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত দেবীর দুর্গার আরাধনা, মহাস্নান ও ষোড়শোপচার পুজো এবং চিত্রাঙ্কন, আরতি এবং সন্ধি পুজো করা হয়। দুপুর ১টা ২১ মিনিট থেকে ২টো ৯ মিনিটের মধ্যে সন্ধি পুজো হয়।মহানবমী১অক্টোবর বুধবার সকালে দেবীর আরাধনায় শুরু হয়। নবমীতে তিথিতে চিত্রাঙ্কন, সন্ধ্যা আরতি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২টো ৩৬ মিনিট পর্যন্ত মহানবমীর মহাস্নান ও ষোড়শোপচার পুজো হয় এই তিথিতে।
বিজয়া দশমী ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার – দশমী তিথি দুপুর ২টো ৫৬ মিনিট পর্যন্ত দেবীর বরণ, সিঁদূর খেলা ও বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে। তিথি অনুযায়ী দেবী নির্দিষ্ট বাহনে মর্ত্যে আগমন ও গমন করেন। এ বছর দুর্গার আগমন করছে গজে এবং দোলায় গমন করছে দশভূজা। যে কারণে মড়কের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে এবারে।আজ সনাতনী ধর্মালম্বীদের দেবী দুর্গার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটবে।