মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি.
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মানিকগঞ্জ সদরের ১১৭টি পূজামণ্ডপে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫০০ কেজি করে চাল। মোট বরাদ্দ দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ৫৮ টন। ভক্ত-দর্শনার্থীদের আপ্যায়নে ব্যবহার করার কথা থাকলেও সেই সরকারি চাল নিয়ে শুরু হয়েছে ‘চালবাজি’।
অভিযোগ উঠেছে, সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক, যুবদল নেতার ভাই খায়রুজ্জামান লিটন ও দাশড়ার বাবুকে নিয়ে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে চাল কিনে নিচ্ছে। প্রতি কেজি ৪৯ টাকার সরকারি চাল মাত্র ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তাদের কাছে।
রাজনগর, শ্যামনগর, আলীনগরসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপের সভাপতি ও সম্পাদকরা স্বীকার করেছেন—পূজা শেষে বরাদ্দের চাল বিক্রি করেছেন বা বিক্রি করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
চাল কেনার বিষয়টি স্বীকার করে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “আমরা জোর করে কিছু নিচ্ছি না, মন্দির কমিটিরাই চাল বিক্রি করছে।” তবে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে তার সুনাম নষ্টের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন বলেন, “চাল বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সচেতন মহল বলছে, রাজনৈতিক প্রভাবশালী, মন্দির কমিটি ও খাদ্য বিভাগের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে সরকারি চাল কালোবাজারিতে চলে যাচ্ছে। এতে সরকারের সহায়তা বিতরণ কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।