বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনা নগরীর সকল ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযানে কঠোর অবস্থানে খুলনা সিটি কর্পোরেশন।
ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে জনগণ কারণ চলাচলের বিঘ্ন দীর্ঘদিনের দখলদারীদের আধিপত্য এবং শহরের প্রধান প্রধান কেন্দ্র যানজট নিরসনের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে খুলনা নগর ভবনের দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন কর্তা ফিরোজ সরকার, যার ফলপ্রসূ হিসেবে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ফুটপাত থেকে অবৈধ দখলদারদের অপসারণ করার জন্য কেসিসি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর জাহানের নেতৃত্বে টানা কয়েকদিন ধরে অপসারণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তবে ফুটপাতের দখলদারীদের অপসারণ এর কার্যক্রম পরিচালনার সময়ে নগরীর ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ তীব্র অভিযোগ করে বলেছেন সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তালুকদারের একক আধিপত্যতা ও স্বজন প্রীতির কারণে খুলনা নগরজুড়ে ফুটপাত দখল করে পথচারীদের চলাচলের বিঘ্ন ঘটিয়ে একচেটিয়া দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনা করে গেছে ফুটপাত দখলদার ব্যবসায়ীরা।
আর এদের দাপট সহ সব কিছুর অন্তরালে ছিল এক সময়কার খুলনা নগরের রামরাজত্ব কায়েমের খলনায়ক এবং অবৈধ পথে অর্থের পাহাড় উপার্জনের সম্রাট তালুকদার আব্দুল খালেক।
তবে গত ২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক এই খলনায়ক আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর তার সকল অপকর্ম ও দুর্নীতির জনসম্মুখে উঠে আসতে থাকে তারই অংশ হিসেবে খুলনা ফুটপাত দখলদারির মদদ দাতার পৃষ্ঠপোষকতার আশীর্বাদ পুষ্ট ব্যক্তি ছিলেন তিনি ।
পরে নগর ভবনের দায়িত্ব ফিরোজ সরকার গ্রহণ করার পর থেকে নগর উন্নয়ন প্রকল্পের লক্ষ্যে একের পর এক উচ্ছেদ অভিযান ও অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়ে প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে নাগরিক জীবনের স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে প্রতিনিয়ত উচ্ছেদ অভিযান সহ নগর উন্নয়নের সকল ধরনের কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল নগরীর নিরালা মোর গল্লামারি ও ময়লাপোতা পর্যন্ত অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাত দখল ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে এবং বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে জরিমানাও করে উচ্ছেদ অভিযানের কর্মকর্তাগণ।