জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া গ্রাম্য কোন্দলের মিথ্যা অভিযোগে যুবদল থেকে বহিষ্কার হলেন লোহাগড়া উপজেলা যুবদল সভাপতি খান মাহমুদ।বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার চাই সাধারণ নেতা কর্মীরা।
গত ২ মাস আগে ” মুখ থুবড়ে পড়েছে লোহাগড়া যুবদল” শিরোনামে দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছিলো “। আজও পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি লোহাগড়া যুবদলের নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য যে বিগত আওয়ামী লীগ আমলে সকল প্রকার বিএনপির রাজনীতির আন্দোলন সংগ্রামে নেতা- কর্মীদের সাথে নিয়ে বুক চিতিয়ে রাজপথের অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লোহাগড়া উপজেলার যুবদলের সভাপতি খান মাহমুদ আলম। একারনে তিনি বারবার কারাবরন সহ এবং হামলা মামলার শিকার হয়েছেন তবু তিনি রাজপথ ও নেতাকর্মী ছেড়ে চলেযান নাই।
বড় পরিতাপের বিষয় হলো গত দেড় বছর আগে লোহাগড়া উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামে গ্রাম্য অধিপত্যে বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ দুই ব্যাক্তি নিহত হয়। সেই সময় খান মাহমুদ ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। গ্রামের প্রতিপক্ষের লোকজন ঈশ্বর্নিত হয়ে ওই হত্যা মামলায় খান মাহমুদকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। বহিষ্কারের আবেদনে মামলার কপি সংযুক্ত করে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে আবেদন করে প্রতিপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিস খান মাহমুদকে বহিষ্কার আদেশ দেয়।
তারপর ও সে দলের মমতায় দলের নেতা কর্মী নিয়ে সকল প্রকার দলীয় কর্মকান্ড সহ আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য দলকে গতিশীল রেখেছে।
এবিষয়ে খান মাহমুদের সাথে কথা হলে তিনি আবেগপ্লুত কন্ঠে বলেন দলের জন্য কি করেছি আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা সবই জানেন আমি আর কি বলবো!! তবে গ্রাম্য কোন্দলের কারনে আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। আমি ওই ঘটনায় জড়িত নাই। আমি কেন্দ্রে কাছে সবিনয়ে অনুরোধ করছি আমার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে দলে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার।
এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলার সহসভাপতি মোঃ নায়েব আলী,কশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মিরাজ ফকির, মল্লিকপুর ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ খিজির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান,লোহাগড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের আহব্বায়ক মোল্যা আকিদুল ইসলাম দুলু,লোহাগড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সাফায়েত মুন্সি, কোটাকোল যুবদলের সভাপতি সৈয়দ শাহূীন,নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নবাব আালী,সাধারণ সম্পাদক সাবু সরদার,, নলদী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ প্রিন্স,লাহুড়িয়া যুবদলের সভাপতি মিল্টন জমাদ্দার ,লক্ষীপাশা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোঃ গিয়াস খান,কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম সহ অনেকে বলেন আমাদের নেতা খান মাহমুদকে যে ঘটনায় দল বহিষ্কার করেছে তা সম্পূর্ণ গ্রাম্য কোন্দলে একটি পক্ষ এমন কাজ করেছে। মাহমুদ খান ওই ঘটনায় জড়িত ছিলো না, এইটা কোন রাজনৈতিক ঘটনা না। আমারা খান মাহমুদের বহিষ্কার আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবী জানায়।
এবিষয়ে নড়াইল জেলার যুবদলের সভাপতি মোঃ মশিয়ার রহমানের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমরা কেন্দ্রে কথা বলেছি, হয়তো দ্রুত প্রত্যাহার হবে আদেশ প্রত্যাহার হবে।