বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মধ্য নওমালা সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এক অফিস সহকারীকে একদিনেই ৬ কর্মদিবসের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সরেজমিন ওই মাদ্রাসায় গেলে দেশ চ্যানেলের প্রতিনিধির সামনেই এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মো. মহসিন ওই মাদ্রাসার অফিস সহকারী এবং নওমালা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি বলে জানা গেছে।
জানা যায়, বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ওই মাদ্রাসায় যান। এসময় তিনি দেখতে পান অফিস সহকারী মোঃ মহসিন হাজিরা খাতা খুলে বিগত ৬টি কর্মদিবসের স্বাক্ষর একবারে করছেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুপস্থিতিতে একজন অফিস সহকারীর এমন কর্মকাণ্ড ও তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে স্থানীয় অভিভাবক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এসময় মাদ্রাসার সুপার (প্রতিষ্ঠান প্রধান) আ স ম রিফকুল্লাহ মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন না। মাদ্রাসার সহ-সুপার জানান, সুপার অসুস্থতার কারণে মাদ্রাসায় আসেননি। তবে তিনি সুপারের অসুস্থতাজনিত ছুটি বা অনুপস্থিতির কোনো প্রমাণপত্র বা আবেদন দেখাতে পারেননি।
এবিষয়ে মাদ্রাসা সুপার আ স ম রিফকুল্লাহ’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত অফিস সহকারী আমার জানামতে নিয়মিত মাদ্রাসায় আসেন। কি কারণে এধরনের কাজ করলেন একসাথে সাক্ষর করলেন তার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো। আমি গতকাল ও আজকে ছুটিতে আছি। সভাপতি সাহেবকে দরখাস্ত করে ছুটি নিয়েছি।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অ. দা.) মোঃ আকরাম হোসেন খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন পরে কথা হবে বলে জানান।

