সুলাইমান পোদ্দার স্টাফ রিপোর্টার (ভোলা)
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের সময় বসতবাড়ি উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। শুক্রবার বেলা ১১ টায় তজুমদ্দিন উপজেলার ৩ নং চাঁদপুর ইউনিয়নের দালাল কান্দি বেড়িবাঁধের উপর মানববন্ধন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
একই দিনে ১ নং ওয়ার্ডে সকাল ১০ টায় বেড়িবাঁধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গন ভূইয়া বাড়ির দরজার বেড়িবাঁধে মানববন্ধন করে পরবর্তীতে তারা দালাল কান্দিতে একত্রিত হন।
মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে (পাউবো) মেরিন ড্রাইভের জন্য হাইওয়ে বেড়িবাঁধ প্রকল্পে ২০১৮ সালে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধটি সংস্কার করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খামখেয়ালি ও অপরিকল্পিতভাবে বাসিন্দাদের বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এতে খোলা আকাশের নিচে অসহায় হয়ে পরে শত শত পরিবার।জমির মালিকদের কোন ক্ষতিপূরণ ও বসতবাড়ি পূর্নবাসন না করেই কিছু দিন ধরে এক্সাভেটর দিয়ে বসতবাড়ি ঘর উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত হাসান ভূইয়া বলেন ঘরবাড়ি উচ্ছেদে তারা বাধা দিলে ঠিকাদারের লোকজন তাদেরকে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু তারা এতে রাজি হয়নি। তারা বলেন বেড়িবাঁধ সোজা করার জন্য পূর্ব পাশে অনেক যায়গা রয়েছে ২০/৩০ ফুট পূর্ব দিক দিয়ে বেড়িবাঁধের কাজ করলে শতশত পরিবার ভিটেমাটি হারা হতে হয় না।
ক্ষতিগ্রস্ত তানবীন হাসান বলেন ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী সরকার কাউকে কোন ক্ষতিপূরণ ছাড়াই জোরপূর্বক উচ্ছেদ করতে পারে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের সুবিধার্থে উত্তর ও দক্ষিণ দিকের বেড়িবাঁধ পূর্ব দিক দিয়ে করছেন কিন্তু এখানে তাদের স্বার্থের জন্য পশ্চিম দিক দিয়ে বেড়িবাঁধ করার চেষ্টা করতেছে।তারা ধীরগতিতে কাজ করায় সরকার কাজ শেষ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করায় তারা এখন তারাতাড়ি বাড়িঘর উচ্ছেদ করতেছে বেড়িবাঁধ করার জন্য। এদিকে তারা ক্ষতিপূরণ ও পূর্নবাসনের দাবি করলে এক্সাভেটর দিয়ে ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়ায় এখন তারা রাস্তায় নেমে এসে মানব বন্ধন করতেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী তানবীর হাসান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইওয়ে বেড়িবাঁধের এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের কোন বরাদ্দ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পূর্নবাসনের কোন সুযোগ নেই। এলাকাবাসীর দাবীগুলো তিনি উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তাদের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছেন।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বসতবাড়ি উচ্ছেদের অভিযোগ পেয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করে পরবর্তীতে তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরে ডিসি অফিস বরাবর একটি দরখাস্ত পাঠানো হয়েছে।

