মোঃসাদ্দাম হোসেন ইকবাল, ঝিকরগাছা উপজেলা প্রতিনিধী।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রামাগতাই চলছে কোম্পানীর স্প্যাম্পলের নিম্ন মানের বিজ দিয়ে চাষ। যার জন্য কারণে-অকারণে অনেক কৃষক পরিবারের সদস্যরা সর্বশান্ত হতে বসেছে। এটা নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না। সম্পতি বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বোধখানা গ্রামের মৃত হরেন মাস্টারের ছেলে সমির ভৌমিকের জামিতে মল্লিকা সিড গ্রুপের ‘সামার এ্যাডভান্স রেইন’ নামক ফুলকপির বিজ দিয়ে চাষাবাদ করবেন না বলে কোম্পানীর প্রতিনিধিকে জানিয়ে দিলেও মল্লিকা সিড কোম্পানীর প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ নাছোড়বান্দা হয়ে তাকে দিয়ে চাষ করতে বাধ্য করেন। মাসুম বিল্লাহ পাশ্ববর্তী মনিরামপুর উপজেলার বাসীদেবপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে। বর্তমানে যশোর শহরের বকচরে বসবাস করেন। কোম্পানীর স্প্যাম্পলের বীজ খুব উন্নত মানের বীজ বলে কৃষকের সাথে প্রত্যারণা করছে। কৃষকদের বলেন আপনি এই বীজ নিয়ে একবার চাষ করে দেখেন ভালো ফলন হবে। আপনাকে এখন বীজের দাম দিতে হবে না। বীজে ভালো ফসল হলে আমার বীজের দাম দিতে হবে কৃষকের সাথে এই কন্টাক থাকলেও বর্তমানে কৃষকের জমিতে ফুলকপির কুড়ি দেখা গেলোও বাজারের বিক্রয়ের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এই আবাদে কৃষকের প্রায় ৩০-৩৫হাজার টাকা খরচ হয়ে গেলেও কোম্পানীর পক্ষ হতে তেমন কোন সারা পেল না কৃষক সমির ভৌমিক। মল্লিকা সিড গ্রুপের ‘সামার এ্যাডভান্স রেইন’ নামক ফুলকপির বিজ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় কোম্পানীর প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ বর্তমানে কৃষক সমির ভৌমিকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একই ইউনিয়নের ইউসুফ পুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন তিনিও ৪০-৪৫হাজার টাকা খরচ করে ১বিঘা জমিতে ও নাভারণেরও একাধিক চাষিরা তাদের এই কর্মকান্ড থেকে রেহায় পায়নি। বর্তমানে ঘটে যাওয়া সংবাদের বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশিত হলে সমিরকে দিয়ে মাঠে চাষ করানো মল্লিকা সিড গ্রুপের ‘সামার এ্যাডভান্স রেইন’ এর সকল চারা তুলিয়ে সরিয়ে ফেলানো হয়েছে, কৃষককে বিভিন্ন কোম্পানীর ৮-১০প্যাকেটের বীজ দিয়েছে এবং নগদ ৫হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়াও কোম্পানীর প্রতিনিধি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করার জন্য বা প্রকাশিত সংবাদপত্রের সংবাদ মিথ্যা প্রমাণিত করার জন্য কোম্পানীর প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ কৃষককে দিয়ে শেখানো বক্তব্য দিয়ে ভিডিও তৈরী করে কোম্পানী ও যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করবে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
এঘটনার বিষয়ে স্থানীয় কৃষকরা বলেন, আজ আমাদের ক্ষতি হয়েছে কাল আর একজনের ক্ষতি হবে এটা আমরা চাই না। আমরা চাই মল্লিকা সিড কোম্পানী ও তাদের প্রতিনিধিদের দ্বারা ক্রমাগত ভাবে আমরা যে ক্ষতির স্বিকার হচ্ছি এটার বিষেয়ে প্রশাসন হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মল্লিকা সিড গ্রুপের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লারহের সাথে যোগাযোগের জন্য তার ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
উপেজলা কৃষি অফিসার মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর কোম্পানীর প্রতিনিধির সাথে আলাপ করে তাকে অফিসে আসার জন্য বলা হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল নং বন্ধ যার কারণে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে আমরা তার কোম্পানীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।