মিজানুর রহমান
নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের বিলনালিয়া গ্রামের ওহিদ মোল্লার স্ত্রী মন্জুরা বেগম (৩৫) কে একই গ্রামের দালাল সখিনা বেগম (৫০) স্বামী চাঁনমিয়া শেখ ঢাকা এজেন্সির মাধ্যমে দুই বছর কন্টাকে সৌদি আরব হাউস ভিসায় পাঠায়। সেখানে দুই বছর থেকে প্রায় ১ মাস হয় বাংলাদেশে (বাড়িতে) আসে।স্ত্রী বাড়িতে আসার আগেই স্বামী ওহিদ মোল্লা বাদী হয়ে ২০২২ সনে ফরিদপুর বিজ্ঞ মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল ফরিদপুর আদালতে সখিনা বেগম সহ ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেন। সরেজমিনে গিয়ে ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে বাদী ওহিদ মোল্লার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় স্বামী ও স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম একসাথে পারিবারিক কাজ করছেন।কাজের সময় ওহিদ মোল্লাকে তার সাথে কাজ করা নারী কে সে বলে আমার স্ত্রী নাম মন্জুরা বেগম বলতেই মন্জুরা বেগম দূরত্ব হেঁটে ঘরে ঢুকে দরজার খিল আটকিয়ে দেয়।ওহিদ মোল্লা বলেন ১৫/২০ দিন হয় আমার স্ত্রী মন্জুরা বেগম বাড়িতে এসেছে।স্ত্রীকে গোপন রাখার বিষয় তিনি বলেন আমার স্ত্রী আপনাদের সাথে কথা বলবেনা যা বলার সময়মতো জজ এর সামনে বলবে।তার স্ত্রী মন্জুরা বেগম এর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ঘর থেকে উত্তর দেন আমার স্বামী যা করবে আমি তাই করবো। দালাল সখিনা বেগম বলেন আমি গরীব মানুষ আমার মেয়েকে যে এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়েছি তাতের সাথে সুসম্পর্ক হওয়ায় আমার প্রতিবেশী মন্জুরা বেগম কে তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করে দিলে এজেন্সির লোকজন দুই বছর কন্টাকের মাধ্যমে তাকে সৌদি আরব পাঠায়।বিদেশে দুই বছর থেকে মন্জুরা বেগম বাড়িতে আসে,এছাড়া তার স্বামী ওহিদ মোল্লা বউ বাড়িতে আসার আগে আমার নামে, আমার স্বামীর নামে, ছেলের নামে,নাতিনকে আসামী করে মানব পাচার অপরাধে মামলা করে।সখিনা বেগম বলেন তারা মামলা করলেও কোন নোটিশ পাইনি হঠাৎ পুলিশ এসে গত বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের সবাইকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।আদালত থেকে আসামী সখিনা বেগম, চাঁনমিয়া স্থায়ী জামিন হলেও ছেলে নুর ইসলাম (৩৫), নাতিন ফরিদ শেখ (২৭) কারাগারে আটক রয়েছে। তাদের ও জামিন হয় যাবে।সে আরও বলেন বৈধ পথে বিদেশ পাঠালেও তারা আমাদের নামে মিথ্যা মানব পাচার মামলা করে।ওহিদ মোল্লা মামলা করে আদালতে সেই মামলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের কাছে তদন্ত আসে কিন্তু আমাদের কাউকে না ডেকে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার দাবী করছি।তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদে না পাওয়ায় এবং ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।