রুপম চাকমা বাঘাইছড়ি উপজেলা,
রাঙামাটি জেলা বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন সাজেক ইউনিয়নের সাজেক পর্যটন এলাকা থেকে অপহরণের শিকার হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী দিপীতা চাকমাকে (২৫)।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাজেক শিজকছড়া এলাকা থেকে ‘একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী’ কর্তৃক তিনি অপহরণের শিকার হন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধমে তা জানা গেছে। অপহরণের পর আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টা দিকে সাজেক থানাধীন দাঁড়িপাড়া বনোআদাম নামক স্থান থেকে ‘সেনা-পুলিশ-বিজিবির যৌথ অভিযান’ চালিয়ে অপহৃত ঢাবি শিক্ষার্থীকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে।
দিপীতা চাকমা অপহরণের পর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে খবরটি গুরুত্বসহকারে প্রচার করা হয়েছে। ফেসবুকে বেশ কয়েকজন লোক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ইউপিডিএফ-কে দায়ী করে অনেকে লেখা-লেখি করেছিল এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদ কর্মীরা অপহরণের সাথে সরাসরি ইউপিডিএফ-কে দায়ী না করলেও ঘটনাস্থলটি ইউপিডিএফ-এর নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। যা পাহাড়ে রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ-এর কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও ইউপিডিএফ-ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।
বস্তুত, সাজেক পর্যটন এলাকা, শিজকছড়া, উদয়পুর সীমান্ত সড়ক পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং দঁড়িপাড়া বনোআদাম অর্থাৎ অপহরণের ঘটনাস্থল এবং উদ্ধারে স্থানটি পাহাড়ে কোন রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ করে সেটি পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা-পুলিশ-বিজিবির সদস্যরা অবগত। কাজেই ঢাবি শিক্ষার্থী দিপীতাকে কারা অপহরণ করেছিল, কেন অপহরণ করা হয়েছে এটিও সেখানকার সেনা-পুলিশ-বিজিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানেন।
সাজেক পর্যটন এলাকা থেকে ঢাবি ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনা সারাদেশের মানুষের কাছে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সাজেকের এমন ঘটনা কেবল সাজেকবাসীর নন পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামে মানুষের প্রতি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষেরা নেতিবাচক ধারণা লাভ করবে। কাজেই এ অপহরণের সত্য উদঘাটন করার জরুরী এবং এটি প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্বেও পড়ে।
কিন্তু আমরা লক্ষ্যে করছি যে, ঢাবি ছাত্রীকে উদ্ধারের পর প্রশাসন পক্ষ থেকে মিডিয়ায় যে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে তা যথাযথ নয়। কেন অপহরণ করেছে, অপহরণকারীরা কারা, কোন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল করেছে সেটি এখনো পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি, আড়ালে রাখা হয়েছে। ঢাবি শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাতন না করে প্রশাসন এড়িয়ে গেলে চলবে না। এ ঘটনার সত্যটা জনসম্মূখে প্রকাশ করতে হবে।