তুষার কবিরাজ (খুলনা) প্রতিনিধি :
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জয়খালী এলাকায় মৃত যোজ্ঞেস্বর মণ্ডলের সন্তানদের ভোগদখলীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধানরোপণের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে আদালত নালিশী ওই জমিতে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেন। তবে মামলার অভিযুক্তরা এই নির্দেশ না মেনে গতকাল বুধবার নালিশী ওই জমিতে ধানরোপণ করে বলে অভিযোগ প্রবীর রায়ের। কৃষ্ণপদ মণ্ডলের ছেলে প্রবীর রায় জানান,উপজেলার জলমা ইউনিয়নের রাজবাধ মৌজায় ২ দশমিক ৫০ একর জমি পৈতৃক সূত্রে ১০২ বছর যাবৎ ভোগদখল করে আসছে আমার পরিবার। কিন্ত প্রায় ১৫ বছর ধরে আমাদের জমিতে এসে ছোট বয়রা এলাকার পল্লবী পারভীন হোসেন নামের এক ব্যক্তিসহ কয়েকজন বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এমন কি ওই জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টাও করে। জমি দখলের এ চেষ্টা নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্ত কোনো সমাধান হয়নি। এরপর ২০০৭ সালের ১৪ মার্চে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে কৃষ্ণপদ মণ্ডল (রায়) বাদী হয়ে মামলা । প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ১৯ অক্টো বর পর্যন্ত এ জমির zওপর স্থিতাবস্থা (১৪৪ ধারা) জারি করেন। কিন্তু এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে কয়েকবার দখলের চেষ্টাও চালায় অভিযুক্ত খুলনা নগরীর ছোট বয়রা মসজিদ বাড়ি রোড এলাকার পল্লবী পারভীন হোসেন, মো. আজাদ ও মো. আব্দুর রশিদরা। সর্বশেষ গত সোমবার থেকে ভাড়াটি সন্ত্রাসী দিয়ে ওই জমিতে ধানরোপণ করছে। অভিযুক্তরা বার বার দখলে নেওয়ায় চেষ্টা করায় প্রবীর আক্ষেপ করে বলেন,হিন্দু-সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়ায় আমাদের জমি হারানোর শঙ্কা পেয়ে বসছে। এর আগে কৃষ্ণপদ মণ্ডল (রায়) মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জলমা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে অভিযোগ করলে তা-ও মানেনি অভিযুক্তরা। অভিযুক্তদের ম্যানেজার পরিচয়দানকারী আব্দুল মজিদ বলেন,এই জমিতে মামলা চলমান রয়েছে। আদালতঙ স্থিতাবস্থা বজায় রাখার কথা বলেছেন,তবে জমি আমাদের দখলে থাকায় ধানরোপণ করছি। বটিয়াঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শওকত কবির মুঠোফোনে বলেন, জলমা ইউনিয়নে জমি-সংক্রান্ত বিষয়ে হাজারেরও উপরে অভিযোগ রয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে জোরপূর্বক দখলে নিচ্ছে এমনটি নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে যদি এমন ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে বাদী পক্ষ থানায় কাগজপত্র নিয়ে আসলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হবে।