বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
একদিকে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে খুলনায় বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগী সাথে মৃত্যুর সংখা ও কম না।
অপর দিকে সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেলাইন ও ওষুধের কৃত্রিম সংকটে ভুক্তভোগী রোগীদের বাইরের ফার্মেসী গুলো থেকে দুই তিন গুণ দাম বাড়িয়ে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে চিকিৎসারত রোগীরা।
এদিকে আবার খুলনা নগর ভবন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বর্তমান মহামারী ডেঙ্গুর প্রতিরোধের কার্যক্রম ধীরগতিতে চললেও নজরদারি করছে না তারা।
নগরীর এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে থেকে জানিয়েছে একদিকে বিগত দিনের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে হুহু করে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা।
অপরদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে যে সকল কার্যক্রমের উপর নির্ভর করছে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার প্রতিরোধে অলিতে গলিতে জমে থাকা ময়লারস্তুব পয়নিষ্কাশন ড্রেন নর্দমায় পরে থাকা ময়লা আবর্জনা নগর ভবনের পরিচ্ছন্ন কর্মী দ্বারা যথা সময় পয়নিষ্কাশন ও মশা নিধন কার্যকর এর কোন সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী।
এবং ৩১ টি ওয়ার্ডের কোথাও নেয়া হচ্ছে না এডিস মশার লার্ভা সনাক্তের উদ্যোগ এমনকি লার্ভা শনাক্তের জন্য সিটি কর্পোরেশনের নেই কোন নিজস্ব ল্যাব।
তবে মশা নিধন কার্যক্রম যদিও চলমান রয়েছে তাও চলছে বিগত দিনের পুরাতন মডেলের মেশিন দ্বারা ধীরগতিতে।
নগরবাসীর অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ড এলাকায় সরজমিনে ঘুরে মিলেছে তার সত্যতা।
নগরীর ময়লা পোতা মোর সন্নিকট পাড়িজাত ভবনের সম্মুখে জন চলাচলের প্রধান সড়কের একাংশ জুড়ে এলাকার বাসাবাড়ির যত ময়লা আবর্জনা ফেলে বিশাল আকারে ময়লার ভাগারে পরিণত করে মশা মাছি উৎপত্তির অভয়ারণ্য গড়ে তুলে দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণ করলেও সময় মত ময়লা পরিষ্কার করছে না নগর ভবনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
পাশাপাশি নাগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডের অলি গলিতে ময়লা আবর্জনার পরিস্থিতির চিত্র একই।
তবে দেশের অন্যান্য বিভাগীয় প্রধান শহরগুলোতে রয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের রোগ তত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ( আইইডিসিআর ) এর লার্ভা জরিপ এর ব্যবস্থা। কিন্তু ডেঙ্গু মহামারীর এই ক্রান্তি লগ্নে কেসিসির পক্ষ থেকে এই দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোন ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানা গেছে।
নগরীতে কোন এলাকায় এডিসের লার্ভা কি পরিমাণে রয়েছে সে সম্পর্কে কোন ধারণা নেই সংস্থাটির কর্মকর্তাদের।
এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ের মধ্যেও তাদের পুরাতন রুটিন মাফিক ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন।
তবে এ বিষয়ে কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুর রহমান দাবি করেন মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে নগরীর প্রতিটি এলাকায় নগর ভবনের পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োজিত রাখা হয়েছে এবং তারা যথারীতি ময়লা আবর্জনা নিষ্কাশন সহ মশক নিধন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ।
সাথে প্রতিদিনই নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে সকালে লাইট ডিজেল ও কালো তেল স্প্রে করে মশার লার্ভা নিধন করা হচ্ছে এবং বিকালে ফগার মেশিন দিয়ে বড় মশা নিধনের কাজ চলমান রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন নিজেদের বাড়ির আঙ্গিনা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করতে নগরীতে মাইকিং করা হচ্ছে।
মশক নিধনের পাশাপাশি কেসিসির ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে বিভিন্ন ওয়ার্ডে অভিযান চলছে।
এবং নগরবাসীকে যথারীতি ভাবে নিজস্ব বসতবাড়ির মধ্যে জমে থাকা ময়লা আবর্জনা ঘরে জমিয়ে মশা মাছির উৎপত্তি না করে সিটি কর্পোরেশন এর ময়লার গাড়িতে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে এবং এসকল নির্দেশনা যারা না মনবে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করার ব্যাবস্তা রাখা হয়েছে।