আনারুল ইসলাম, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী কর্তৃক একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এ ঘটনায় গত সোমবার র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ জানায়।
পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লিটন ও তার বন্ধুরা প্রতিদিন মামুন-অর-রশিদসহ তার সকল বন্ধুদের নিয়ে ৩-৪ ঘন্টা করে আটকে রেখে র্যাগিং করেছেন বলে জানা যায় অভিযোগপত্র ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মাধ্যমে।
মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়ায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করতে না পেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মামুনের ভাই ফেসবুকে পোস্ট করে। সেই পোস্টটি র্যাগিং করা শিক্ষার্থীরা দেখে ফেলে এবং সেই পোস্টের জের ধরে সবাইকে রুম থেকে বের করে দিয়ে মামুনকে একা রুমে আটকে রাখে। এসময় তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালিও করে।
এদিকে ঘটনার তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকারকে আহ্বায়ক, পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান আব্দুল মুয়ীদকে সদস্য এবং প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জিকে সদস্য সচিব করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীর স্বাক্ষরিত এক আফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
পরিসংখ্যান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আব্দুল মুয়ীদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে পরিসংখ্যান বিভাগও র্যাগিং এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অবস্থান করছে। পরিসংখ্যান বিভাগের কোনো শিক্ষার্থী যদি র্যাগিং এর সাথে জড়িত থাকে বা জড়িত হওয়ার চেষ্টা করে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি বলেন, র্যাগিং একটি ঘৃণিত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র্যাগিং এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি পরিসংখ্যান বিভাগে র্যাগিং এর অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। র্যাগিং এর সাথে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।