সুমন আহমেদ বিজয়ঃ
লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি কে চড় ও চেয়ার চুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে উক্ত বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে জিরুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি খোদাদাদ জামান তালুকদার গত ২০ সেপ্টেম্বর সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় লাখাই উপজেলায় বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক লিখছেন একজন সহকারী শিক্ষিকার আচরণ যদি এমন হয় তাহলে ছাত্র-ছাত্রী সাথে কেমন আচরণ হবে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমি খোদাদাদ জামান তালুকদার জিরুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি। সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার নানা অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার কারণে আমার সাথে মনো মালিন্য সৃষ্টি হয়।উনি বর্তমানে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে বাড়ীতে আছেন। আমার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের যাবতীয় উন্নয়ন কাজ সঠিক ভাবে চলমান আছে।উক্ত শিক্ষিকা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ৩ বৎসর পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত ছিল। ঘটনার সময় ও তারিখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার তলব তাগিদ মাত্র একটি ফাইলে দস্তখত দিবার জন্য বিদ্যালয়ে আসি তখন আমি অফিস রুমে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দেখানো রেজুলেশন বইতে স্বাক্ষর করিতে থাকাবস্থায় সহকারী শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে আসিয়া আমাকে দেখা মাত্র পিছন দিক থেকে পর পর ২ টি চড় মারে এবং আমাকে অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করিয়া আমার সামনে আসিয়া বলে তুই কেন অফিসে এসেছিস।সাথে সাথে উপস্থিত শিক্ষকগণ ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার হস্তক্ষেপে সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার তাহার অন্যায় কাজ থেকে বিরত হয়।এরপর উপস্থিত শিক্ষকগণের সামনেই আবার আমার উপর একটি চেয়ার চুড়ে মারে।চেয়ার টি আমার গায়ে আসিয়া লাগার কারণে আমি আঘাত প্রাপ্ত হয়।
জিরুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জয়শ্রী দেবনাথ জানান বিদ্যালয়ের সভাপতি কে সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার দ্বারা চড় মারা ও চেয়ার চুড়ে দেওয়ার ঘটনা সত্য।
জিরুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি খোদাদাদ জামান তালুকদার দরখাস্তের সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তারের অন্যায় অনিয়ম দূর্নীতির সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রার্থনা করছি এবং এই ঘটনা সুষ্ঠু বিচার চাই।
সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তারের মোবাইল (01993-752057) নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নাই।
লাখাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক জানান গত ১৯ সেপ্টেম্বর আমি জেলাতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে ছিলাম,আপনার মাধ্যমে দরখাস্তের বিষয় টি জানতে পারলাম এবং বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান জিরুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি কে সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার চড় ও চেয়ার চুড়ে মারার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।আগামী বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানী হবে।দুই পক্ষের জবানবন্দী শুনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।