মোঃ আব্দুল আজিজ নিয়ামতপুর উপজেলা প্রতিনিধি
নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ দীর্ঘদিন থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালক না থাকায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা। সরকারি দুইটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না থাকায় অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট মাইক্রো কারে রোগী পরিবহন করতে হচ্ছে। এতে করে একদিকে রোগীর স্বজনেরা লোকসানের শিকার হচ্ছেন অপরদিকে দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। এ্যাম্বুলেন্স চলাচল না করায় যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিকল হয়ে পড়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স -এর সর্বশেষ অ্যাম্বুলেন্স চালক প্রায় ৫ মাস আগে অবসরে চলে যান।এরপরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার গাড়ি চালক নাজমুল হক উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার’র গাড়ি না থাকায় তিনি কিছুদিন অ্যাম্বুলেন্স চালকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এতে চালক শূন্য হয়ে একটি নতুন ও দুইটি পুরাতন এ্যাম্বুলেন্স পড়ে আছে।
দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন কোনো অ্যাম্বুলেন্স চালক যোগদান না হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গ্যারেজে ও খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গুরুতর রোগীদের এখান থেকে স্থানান্তর করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । স্থানান্তরিত রোগীদের পরিবহনের জন্য স্বজনদের ছুটতে হয় প্রাইভেট গাড়ির নিকট আর সুযোগ বুঝে প্রাইভেট গাড়িগুলো সরকারি ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয়। বিপদে পড়ে বেশি টাকা দিয়েই উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়মিত রোগী পরিবহন করে রোগীর স্বজনরা।তার পরেও গাড়ি না পাওয়ায় রোগী স্বজনদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
উপজেলার বালাহর গ্রামের হালিম নামে এক যুবক জানান, জরুরী রোগী নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাবার জন্য সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক না থাকায় বেশি টাকায় প্রাইভেট একটি মাইক্রো নিয়ে আমাকে যেতে হয়। এতে টাকা বেশি লাগলেও মাইক্রো ম্যানেজ করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুুবুল আলম বলেন, বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্স চালক নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত সময়ে শূন্য পদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক যোগদান না হলে অত্র উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবার রোগীরা ভুগাান্তিতে বৃদ্ধি পাবে।