ঢাকাTuesday , 10 October 2023
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মেহেন্দিগঞ্জে চিকিৎসার নামে চলেছে টেস্ট এখন ওপেন- সিক্রেট।

দেশ চ্যানেল
October 10, 2023 3:35 pm
Link Copied!

মোঃ মশিউর রহমান সুমন।
মেহেন্দিগঞ্জ, (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ

সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান বরিশাল জেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, এখানে বিভিন্ন রোগ পরিক্ষা -নিরীক্ষার সব সময়ই থাকে বিকল। এ ছাড়াও ২০ ভাগ রোগের ক্ষেত্রে পরিক্ষার কোনো ব্যবস্থাই নেই সরকারি এই হাসপাতালে। আর এই সুযোগে হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে হাসপাতালেই সামনেই গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের একটি শক্তিশালী চক্র, ঘুনের মতো খুঁড়ে খাচ্ছে সরকারি স্বাস্থ্য সেবাকে।

বেসকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা প্রকাশ্যে হাসপাতালের কম্পাউন্ড থেকে রোগীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে নিজ নিজ ক্লিনিকে। রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। এদিকে এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে অনেক অসাধু চিকিৎসকও জরিত আছেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কিছু কর্মকর্তা।এই চিকিৎসক শ্রেনীর কারসাজিতেই আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে চলছে টেস্ট বানিজ্য। হাসপাতাল ঘিরে গড়ে ওঠা চিকিৎসক সিন্ডিকেটের এই টেস্ট বানিজ্য এখন ওপেন -সিক্রেট। হাসপাতালের বড় একটি চক্র গ্রাম থেকে আসা সহজ- সরল রোগীদের বিভ্রান্ত করে এ কাজ করছে। আর উচ্চমূল্যে টেস্ট করাতে গিয়ে ঔষধ কেনার টাকাও থাকছেনা অনেক অসহায় রোগীদের কাছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জাহানারা(৪৫) নামের এক রোগীর সঙ্গে। হরমোনাল কিছু সমস্যা নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন তিনি।চিকিৎসক তার ব্যবস্থাপত্রে ইউরিনসহ বেশ কিছু টেস্ট করাতে বলেন।কিছু বুঝে উঠার আগেই হাসপাতাল কম্পাউন্ডের ভেতরেই থাকা দালাল চক্র চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী রোগীকে নিয়ে যায় বেসকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। পরে পরিক্ষা নিরীক্ষা বাবদ ৩ হাজার ৬০০ টাকার একটি বিল তার হাতে ধরিয়ে দেয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার কতৃপক্ষ।

হাসপাতালের একটি চেম্বার থেকে বেরিয়ে বীরমুক্তিযোদ্বা নুরুল হক (৬৫) বলেন, ডাক্তারের ব্যবহার খুবই খারাপ। পরেশ নামের আরেক সেবা প্রার্থী বলেন, ডাক্তার যে পরিমান টেস্ট দিয়েছে, ঔষধ কিনবো কি দিয়া,আর টেস্ট করাবো কি দিয়া?

সরজমিনে জানা গেছে, বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রায় ১০ জন দালাল হাসপাতাল কম্পাউন্ডে দায়িত্ব পালন করছেন।তারা ঘুরে ঘুরে রোগীদের কাছ থেকে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র কেড়ে নিয়ে দেখেন।তাতে টেস্ট করানোর নির্দেশনা থাকলেই স্বজনের ফুসলিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতে নিয়ে যান নিজেদের ক্লিনিকে। পরিস্থিতি দেখলে মনে হবে, যেন সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি ক্লিনিকের সাব অফিস। এ মন্তব্য শুধু প্রতিবেদকের নয়, ভুক্তভোগী অনেকের। তাদের অভিযোগ, অনেক চিকিৎসক নিজেই বেসরকারি কোন ক্লিনিক থেকে টেস্ট করাতে হবে তা সরাসরি রোগী ও স্বজনদের বলে দেন।অসহায় রোগীদের পকেট লুটতে অসাধু চিকিৎসকদের একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। অর্থের লোভে টেস্ট বানিজ্যে জড়িয়ে পড়ছেন নতুন আসা চিকিৎসকরাও।আর সিনিয়র চিকিৎসকরা নিজেরাই জড়িত থাকায় এই চক্রের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পান না হাসপাতালের অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST