আয়নাল হক রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে কয়েক কোটি টাকা নিলামে বাৎসরিক ইজারায় সরকারকে বড় একটি রাজস্ব প্রদান করে আসছে রৌমারী হাট-ইজারাদার। ইজারা চুক্তিপত্রে উল্লেখিত জায়গা বেশিরভাগ অবৈধ দখলদারিত্বে যাওয়ায় এবছরে বড় একটি ‘ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ইজারাদারকে। এতে কোটি টাকার রাজস্ব হারাতে যাচ্ছে সরকার। বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অবৈধ দখল উচ্ছেদ চেয়ে আবেদন দেন ইজারাদার।
জানা গেছে, ‘সরকারি হাট-বাজার সমূহের ব্যবস্থাপনা ইজারা পদ্ধতি’ ২০১১এর নীতিমালা অনুযায়ী সকল শর্তাদি মেনে ২০২৩ সালের ২৫শে অক্টোবর রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ইমান আলী ইজারাদাতা স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রে ভ্যাট,আয়করসহ ৩ কোটি ৬১ লক্ষ ৩১ হাজার ২শত ৫০টাকার নিলামের টাকা পরিশোধ করে রৌমারী হাট-বাজারটির ইজাদারিত্ব গ্রহণ করা হয়। উক্ত চুক্তিপত্রে উল্লেখিত ২১ নং জেএল রৌমারী মৌজায় হাট-বাজার জায়গার পরিমাণ ৬.৯৯০০ একর। কিন্তু সরজমিনে অবৈধ দখলদারিত্ব বাদে বর্তমান অবশিষ্ট জায়গা সর্বচ্চ দেড় একর অবশিষ্ট রয়েছে। তাই জায়গা বুঝিয়ে নিতে কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়। অবৈধ দখলদারিত্ব উচ্ছেদ করতে প্রশাসনের ব্যর্থতায় মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন ১৬২৯৪/২০২৩ দায়ের করা হয়।
পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশনায় এলাকার জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে হাট-বাজারটি মাপজোক করা হলেও ইজারাদারকে এখন পর্যন্ত জায়গা বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হয় উপজেলা প্রশাসন ।
এব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার নাহিদ হাসান খান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সরজমিন তদন্ত করা হয়েছে। অবৈধ দখলদারিত্ব বাদে ২.৬ একর সম্পত্তি রৌমারী হাট-বাজারের দখলে রয়েছে। অবৈধ দখলদারিত্ব মুক্ত করতে সময়ের দরকার। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।