বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
একুশে বইমেলা মানেই ৫২’র ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণে রেখে বাংলা সাহিত্যকে পুনর্জীবিত করা।
আর তারই ধারাবাহিকতায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রতিবছরের ন্যয় এবারও খুলনা বিভাগীয় গ্রন্থাগার মাঠে খুলনা জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে বাঙালী জাতীর প্রাণের স্পন্দন হৃদয়ের মমত্বে গাথা এবং ১৯৫২ সালে বাঙালীর বাংলা ভাষা পুনরুদ্ধারের সকল ভাষা শহীদদের স্মরণে রেখে
আ মরি বাংলা ভাষাকে আরো উজ্জীবিত করতে এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই, প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ থেকে শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। মেলা চলবে ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে সমগ্র মাসব্যাপী। আজ ১ নভেম্বর শনিবার বেলা সাড়ে তিনটায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলা উদ্বোধন করেছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ফিরোজ সরকার এবং ২১ শে বই মেলার সভাপতিত্ব করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম নিজেই। এবারের গ্রন্থ মেলায় মোট ১০০ টি স্টল সম্পন্ন করা হয়েছে, তার মধ্য সবগুলোই বরাদ্দের কাজ শেষ হয়েছে তবে ১০০ টি স্টলের মধ্যে ৮৫টি শুধু বিভিন্ন প্রকাশনার বই বিক্রি করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, বাকি ১৫ টি কুঠির শিল্প ও খাবারের স্টল হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গ্রন্থমেলা নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা ও প্রশাসনের কর্মকর্তা দ্বারা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং পাশাপাশি ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের উদ্দেশ্য জুলাই- আগস্ট মঞ্চ রাখা হয়েছে।
এদিকে মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বইমেলা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। থাকবে মেলামঞ্চে নানা আয়োজন।
২১ শে বই মেলা উদ্বোধন কালে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, সরকারি বিএল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সেখ মো. হুমায়ুন কবীর। একুশে বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপপরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান। একুশে বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান বলেন, একুশে বইমেলায় খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন প্রকাশনী ও বই বিক্রেতারা স্টল বরাদ্দ নিয়ে তারাও তাদের বই ডিসপ্লের কার্যক্রম সম্পন্ন করে বেচাকেনা শুরু করেছে। এবং আজকের উদ্বোধনের প্রথম দিনে দর্শনার্থীদেরও নজরে পড়ার মত ভিড় জমেছে। অপরদিকে কবি-সাহিত্যিকদের আড্ডাস্থল লেখককুঞ্জ। সাংবাদিকদের জন্য মিডিয়া স্টল থাকছে। এরইমধ্যে সবগুলো স্টল বরাদ্দ হয়েছে। আরও চাহিদা রয়েছে। তিনি বলেন, এবারের আকর্ষণ থাকছে জুলাই-আগস্ট মঞ্চ। সেইসঙ্গে প্রতিবারের ন্যায় এবারও থাকছে অনুষ্ঠানের জন্য মূলমঞ্চ। যেখানে মাসব্যাপি নানা আয়োজন রয়েছে। এবার মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের জন্য ফ্রি গ্যারেজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে এবারের একুশে বই মেলা সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাব্যক্ত করেছেন।