নিত্যানন্দ মহালদার বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রতিনিধিঃ
আমন ধানের বাম্পার ফলনে খুশি হয়েছেন খুলনার বটিয়াঘাটার স্থানীয় কৃষকেরা। বটিয়াঘাটার কৃষি অফিসের পরামর্শে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে জমিগুলোতে এখন বাতাসে রোপা আমন ধানের শীষ দোল খাচ্ছে। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। চাষীরা এখন অপেক্ষায় আছেন আমন ধান ঘরে তোলার জন্য। উপজেলা কৃষি অফিসারের নির্দেশনা মোতাবেক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত জীবানন্দ রায়, সদ্য ” সয়েল কেয়ার এ্যাওয়ার্ড ” নির্বাচিত দিপন কুমার হালদার, অঞ্জন কুমার বিশ্বাস, পিন্টু মল্লিক, দীপংকর মন্ডল, মোস্তাফিজুর রহমান, বিষাদ সিন্ধু মন্ডল, প্রতাপ বালা সহ ২১ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকের দোর গোড়ায় যেয়ে তাদের পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। কৃষি দপ্তর জানায়, এবার বটিয়াঘাটা উপজেলার ৭ ইউনিয়নে মোট ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে খরিপ ২ মৌসুমে আমন ধানের আবাদ হয়েছে যা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৩৪ মে: টন। সুখদাড়া গ্রামের নিখিল রায়, শ্রীবাস মন্ডল, রায়পুর গ্রামের মান্নান শেখ এবং বারোআড়িয়া গ্রামের নির্মল বাওয়ালী ও শেখর মন্ডল জানান, আমাদের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান স্যারের পরামর্শে ও সহযোগীতায় রোগ ও পোকা থেকে আমন ধান বাঁচাতে সক্ষম হয়েছি। ফুলতলা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিপন কুমার হালদার বলেন আমরা এবার আগাম কৃষকদের সচেতনার জন্য লিফলেট বিতরণ সহ রাতে ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করেছি। এবার আমন চাষে খরচ বাদে কৃষকেরা অধিক লাভবান হবে বলে আশা করছি। সার্বিক বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আবুবকর সিদ্দিক জানান, চলতি বছরে বটিয়াঘাটা উপজেলায় প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। সঠিক বয়সে চারা রোপণ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ, লাইন লোগো, পার্চিং, আলোক ফাঁদের ব্যবস্থা, মাইকিং, স্কোয়ার্ড টিম গঠন সহ চাষীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে যে কারণে পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় ক্ষেতে ফসল ভালো দেখা যাচ্ছে। তবে কোনো দূর্যোগ না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।