মোঃ রইস উদ্দিন
(রিপন)স্টাফ রিপোর্টার
নয়াপল্টনে পূর্ব ঘোষিত বিএনপির ডাকা সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল(২৯ শে অক্টোবর)রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাক দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এরই প্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস সারাদেশে বিএনপি’র ঢাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন।শনিবার বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস কড়া হুশিয়ারি দিয়ে এ ঘোষণা দেন।ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন-বিএনপির ডাকা হরতাল আমরা মানি না,আমরা রাজপথে থেকে হরতাল প্রতিহত করবো।বিএনপি জ্বালাও পোড়ানোর রাজনীতি করে,মানুষ মারার রাজনীতি করে,তাই এই হরতালের বিপক্ষে আমরা অবস্থান নিবো।মানুষের জান মাল রক্ষার্থে আমরা বিশ্বাসী।এদিকে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে এর আগে রাজধানীর নয়াপল্টন, কাকরাইল ও নাইটেঙ্গেল মোড়ে দফায় দফায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।আজ শনিবার দুপুর ২ টায় বিএনপি’র ঘোষিত সমাবেশের কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীরা ১২:০০ টার মধ্যেই সমাবেশ স্থলে চলে আসেন এবং সমাবেশ শুরু করেন।কিন্তু বিএনপির মহাসমাবেশে বড় বড় নেতা কর্মীরা বক্তব্য প্রদান করতে পারেনি।ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে আওয়ামী লীগেের কর্মী ও পুলিশের সাথে বিএনপি’ সমর্থিত নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় দাওয়া পাল্টা দাওয়া হয়।পুলিশ অবস্থার অবনতি দেখে টিয়ার গ্যাস ছোড়েন।পুলিশের টিয়ার গ্যাসের ধোয়ায় সমাবেশ স্থলসহ সমাবেশের আশেপাশের স্থল ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।বিএনপি’র মহাসমাবেশ বিকাল ৫ টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অবস্থার অবনতি দেখে,দুপুর ৩ টার দিকে বিএনপি’র সিনিয়র নেতা ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশ স্থল থেকে নেমে হ্যান্ড মাইকে আগামীকাল রবিবার ২৯ শে অক্টোবর সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন এবং সমাবেবশ স্থল ত্যাগ করেন।দুপুর ৩ টার পর বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ পল্টনের আশেপাশের এলাকা নেতা-কর্মী শূন্য হয়ে যায়।