বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
থানা থেকে গোপনে ছেড়ে দেওয়া এসআই সুকান্তকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনও জনগণের তোপের মুখে পুনরায় আটক করতে বাধ্য হয়েছে কে এমপি কমিশনার এর আগে গত ২৪ জুন মঙ্গলবার গভীর রাতে এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার সারাদিন কে এমপি কমিশনার কার্যালয় সামনে সাধারণ জনগণ ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীগণ কে এমপির প্রধান কার্যালয়ের গেটে তালাবন্ধ করে রেখে কারণ দর্শানো না পাওয়া পর্যন্ত রাস্তা অবরুদ্ধ করে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে খুলনা ফলে বাধ্য হয়ে পুলিশের এস আই সুকান্ত দাশকে চুয়াডাঙ্গা থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা নিশ্চিত করে কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার একই সাথে তিনি আরো জানিয়েছেন বৃহস্পতিবারর মধ্য এটাই সুকান্ত কে খুলনায় আনা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় একটি এবং আদালতে একটি মামলা রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকা থেকে এসআই সুকান্ত দাসকে মারধর করে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয় স্থানীয়রা। রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় খানজাহান আলী থানা পুলিশ। এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়ন ও গণগ্রেপ্তার চালানোর অভিযোগ ছিল। অভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা হয়।
পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পরও এস আই সুশান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর থেকে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা কেএমপি সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। রাত সাড়ে ৯টায় ছাত্ররা চলে গেলে তালা ভেঙ্গে কার্যালয় থেকে বের হন পুলিশ কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে ফের কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছিল ছাত্ররা তবে কেএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে এসআই সুকান্ত কে সেখানকার পুলিশ পুনরায় নাটকের বিষয়টি নিশ্চিত ভাবে জানতে পেরে আন্দোলন থেকে কিছুটা হলেও পিছু হেঁটেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও জনগণ তবে সুকান্ত কে খুলনায় এনে বিচার না করা পর্যন্ত আন্দোলন থেকে রাজপথ ছাড়বে না বলেও তারা জানিয়েছে।